আসামে বিষাক্ত মদপানে যে কারণে মরলো ১২০

পিবিএ,ঢাকা: ভারতের আসাম রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে মারা যাওয়া চা শ্রমিকদের সংখ্যা বেড়ে ১২০ জনে পৌঁছেছে।

এছাড়া এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়া আরও অন্তত সাড়ে ৩০০ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে রোববার সকালে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার পূর্বের গোলঘাটের একটি চা বাগানে বিষাক্ত মদ্যপানের পর একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে শুরু করে শ্রমিকরা।

দুই সপ্তাহ আগে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরখন্ডে অবৈধভাবে বানানো মদপানে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর আসামে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আসামে যে মদপানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তার স্থানীয়ভাবে ‘হুচ’ বা দেশি মদ হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আসাম সরকার।

বিষাক্ত মদ্যপানে প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা হিমান্তা বিশ্ব শর্মা বলেন, এই সংকট মোকাবেলায় আশপাশের জেলা ও অন্য মেডিকেল কলেজগুলোর চিকিৎসকরাও জরুরি সেবা দিচ্ছেন।

আসামের শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তা এ পান্ডে বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, বিষাক্ত মদ্যপানে হতাহতের ঘটনার প্রেক্ষাপটে আসামে ১৫ হাজার লিটার মদ ধ্বংস করা হয়েছে এবং গোলাঘাট ও জোরহাট থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাঘাটের সালমারা চা বাগান এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা দ্রৌপদী ওরান এবং তার ৩০ বছর বয়সী ছেলে সঞ্জু ওরানের বাড়িতেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই মদ তৈরি হয়। মদপানে নিহতদের মধ্যে এই মা-ছেলেও আছেন।

পিবিএ/জেআই

আরও পড়ুন...