নীলফামারী জেলার চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মো. মাজেদুল ইসলাম ওরফে মজি (৩৫)’কে রাজধানীর শাহআলী থানাধীন এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
রবিবার (২৪ জুলাই) সকালে র্যাব-৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( মিডিয়া)জিয়াউর রহমান চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,ভুক্তভোগী (১৯) একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী এবং নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানাধীন চিড়াভিজা গোলনা এলাকায় তার পালক মা-বাবার সাথে বসবাস করে আসছে। ভুক্তভোগীর পালিত মা-বাবা উক্ত এলাকায় একটি স্টলে চা বিক্রি করতো। প্রতিদিনের মতো তার পালিত মা-বাবা গত ১৫ জুন সকালে তাদের চা স্টলে চা বিক্রি করতে চলে যায় এবং দুপুরের খাবারের জন্য স্টল থেকে বাসায় এসে খাবার খেয়ে ভুক্তভোগীকে একা রেখে পুনরায় চা স্টলে চলে যায়। এই সুযোগে প্রতিবেশী আসামী ভুক্তভোগীকে বাসায় একা পেয়ে চুপিসারে শয়নঘরে প্রবেশ করে কাঠের চৌকির উপর ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর আর্তচিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে আসামী ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে গত ১৬ জুন ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় যার ফলশ্রুতিতে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল পুলিশের পাশাপাশি আসামী গ্রেফতারের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে।
তিনি আরও জানান, গোয়েন্দা সংবাদ ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত শনিবার ( ২৩ জুলাই) রাত ৯ টা ৩৫ মিনিটে শাহ আলী থানাধীন রাইনখোলা কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী উক্ত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মো. মাজেদুল ইসলাম ওরফে মজি (৩৫) নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী তার কৃত অপকর্মের বিষয়টি স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভুক্তভোগীকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুযোগ পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।