হুন্ডির মাধ্যমে চার মাসে কয়েক কোটি টাকা দুবাইয়ের পাচার করেছে একটি চক্র বলে জানিয়েছেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ (সিআইডি) সাইবার স্টেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার এস. এম আশরাফুল আলম। সংস্থাটির ভাষ্য, এই চক্রটির সদস্যরা সাধারণ মানুষদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে অধিক লাভের লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছে।
এরআগে সাইবার পুলিশ সেন্টরের সাইবার মনিটরিং শাখা এমন অভিযোগ পেয়ে বরিশাল জেলায় অভিযান চালায়। অভিযানে তিনজন বাংলাদেশী এজেন্টকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন রনি খান (৩২), আরজু আক্তার ২৭) এবং তাসনিম রহমান (২৫)।
এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল, তিনটি বিকাশ,নগদ এজেন্টের সিম বিভিন্ন ব্যাংকে কয়েকটি চেক বই এবং নগদ এক লাখ ২৮ হাজার ৬৩০ টাকা জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এস. এম আশরাফুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিলেট সাইট নামের অনলাইন ইনভেষ্টমেন্ট ব্যবসায় সাধারণ মানুষদেরকে বিপুল টাকা আয়ের প্রলোভন দেখাতো। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে প্রথম দিকে কিছু মুনাফা দিতেন। পরে আরো বেশি টাকা বিনিয়োগ সংগ্রহ করে সিলেট নামের ওয়েবসাইটে ডিজেবল করে দিয়ে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই কাজে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এজেন্ট নিয়োগ করে নগদ, বিকাশ অথবা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তারা টাকা সংগ্রহ করতো। সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের কাছে এমন তিনটি অভিযোগ আসে। এছাড়াও রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে গত ২৭ জুলাই সিলেট সাইটের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা একটি মানবন্ধনও করে।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এস.এম আশরাফুল আলম বলেন, এই চক্রের প্রধান হোতা আশিক ও তার স্ত্রী সানজিদা। তারা দুবাইয়ে বসবাস করছেন। তারা গত চার মাসের মধ্যে প্রায় চার কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, এই চক্রের সদস্যরা বিকাশ,নগদ, এজেন্ট ও ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতো। পরে সেই টাকা দুবাই প্রবাসী আশিক ও তার স্ত্রী সানজিদার নির্দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে জমা করে দিতো। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলে ব্যাংকে জমা দেওয়ার রশিদ থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।