
সফলতার চূড়ায় পৌঁছাতে বয়স যে একটা সংখ্যামাত্র সে কথা প্রমাণ করেছেন ১৭ বছর বয়সী তরুণ ম্যাক রাদারফোর্ড। ৫২টি দেশে পাঁচ মাস ভ্রমণের পর বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় অবতরণ করেন ম্যাক। ব্রিটিশ-বেলজিয়ান এই কিশোর বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ এককভাবে পৃথিবী প্রদক্ষিণকারী হিসেবে রেকর্ড করে জায়গা করে নিয়েছেন গিনেস বুকে।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে রাদারফোর্ড প্রথম তার পাইলট লাইসেন্স পেয়েছিলেন। তার বড় বোন জারা রাদারফোর্ড হলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী যিনি, এককভাবে পৃথিবী প্রদক্ষিণকারী। সেই অনুপ্রেরণায় বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া থেকে একটি বিমানে করে পৃথিবী ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ম্যাক।
গত ২৩ মার্চ আল্ট্রালাইট শার্ক বিমানে করে রওনা দেন ম্যাক। তার এই সম্পূর্ণ যাত্রা তার ওয়েবসাইট থেকে ট্র্যাক করা হয়েছিল। যেখানে দেখা যায়, ম্যাক বুলগেরিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর, এরপর সাহারা এবং পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্য এবং পূর্ব এশিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন।
সোফিয়ায় অবতরণের আগে তার এই ট্রিপটি তাকে ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছে, দুটি মহাসাগর পেরিয়ে, তার প্লেনটি স্কটল্যান্ডের উইকে যুক্তরাজ্যে ছুঁয়েছে এবং এই সপ্তাহের শুরুতে লন্ডনের বিগিন হিল বিমানবন্দর থেকে প্রস্থান করেছে।
ম্যাক ইতোমধ্যে দুটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। একটি হলো, বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ পাইলট হিসেবে একা ভ্রমণ করা, অন্যটি সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বের দ্রুততম মাইক্রোলাইট বিমানে সফর করা।
তবে যাত্রাটা মোটেও মসৃণ ছিল না ম্যাকের। পোহাতে হয়েছে নানান জটিলতা। খারাপ আবহাওয়ার জন্য যাত্রার মধ্যবর্তী সময়ে তাকে প্রত্যন্ত দ্বীপে আশ্রয় নিতে হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের একটি জনবসতিহীন দ্বীপে রানওয়ের পাশে একটি শেডে ঘুমিয়েছিলেন ম্যাক। যেখানে খাবারের সংকটও তাকে ভুগিয়েছে।
যাত্রা শেষ করার পর ম্যাক তার অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, গোটা সফরটাই বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। আর লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। কঠিন সময়েও তাই হাল ছাড়েননি। ম্যাকের আগে গত বছর ট্র্যাভিস লুডলো ১৮ বছর বয়সে দুনিয়া সফর করেছিলেন।
ম্যাকের পরবর্তী ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে আপাতত স্কুল-পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চান বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন বিশ্বের এই সর্বকনিষ্ঠ পাইলট ম্যাক রাদারফোর্ড।
এর কারণে আপনি দ্রুত জাজমেন্টাল হয়ে উঠছেন। আমেরিকান জার্নাল অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন-এর প্রকাশিত তথ্যে দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি যারা এই সাইটগুলোতে সময় কাটান, তাদের ২.৮ শতাংশ বেশি সম্ভাবনা থাকে অন্তত ছয় মাসের মধ্যে মানসিক অবসাদে ভোগার।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রামের বেশি ব্যবহার একাকিত্বের অনুভূতি হ্রাস করার পরিবর্তে আরও বৃদ্ধি করে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের তুলনায় সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশি প্রাধান্য দিলে তত বেশি উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার মতো মানসিক ব্যাধিগুলো নিজের অজান্তেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন কয়েক গুণ।
এ ছাড়া গবেষণা বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার বুলিং হওয়ার অভিযোগ করেন, জড়িয়ে আছে প্ল্যাটফর্মগুলিকে ঘিরে মিথ্যা গুজব, প্রতারণার শিকার হওয়ার নানান ফাঁদ, যা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক দাগ ফেলে দিতে পারে।
তাহলে নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়ার জাল থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে–এ ক্ষেত্রে কিছু টিপস ফলো করা যেতে পারে: আপনার ফোন আর সোশ্যাল মিডিয়া দুটোতেই অ্যাকসেস করা অনেক সহজ, চাইলেই ফোন থেকে সহজে অ্যাপে ঢুকতে পারছেন। তাই ফোন থেকে সহজেই এই অ্যাপগুলোতে লগইন করার উপায়গুলো বন্ধ করে দিন। দরকার হলে গুগল থেকে ফেসবুক বা এই অ্যাপগুলোতে লগইন করার চেষ্টা করুন। মনস্তাত্বিক দিক থেকে চিন্তা করলে যত বেশি সোশ্যাল সাইটে যাওয়ার রাস্তা কঠিন করবেন, তত বেশি আপনার আগ্রহ কমতে থাকবে।
অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। এতে আপনার বারবার চিন্তা কাজ করবে না। আপনি প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কত সময় ব্যয় করেন, তা ট্র্যাক করতে একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। কতটা সময় হ্রাস করতে চান, তার জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। একটা নির্দিষ্ট সময়ে বা গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় ফোনটা বন্ধ রাখতে পারেন। তা ছাড়া জিমে যেতে পারেন, পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার বেড়াজাল থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।