পিবিএ,কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের হুমকির বিচারে কোনো তদন্ত কমিটি না করে শিক্ষক সমিতির আবেদন ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে কর্মচারীদের বিচারের দাবিতে পর পর দুইটি তদন্ত কমিটি তৈরি হয়। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে একজন কর্মচারীকে হুমকির অভিযোগ এনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই সময় ব্যানারে ড. আবু তাহেরকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাত-শিবিরের প্রধান পৃষ্টপোষক, জামাত-শিবির ও বিএনপির নিয়োগ দাতা, সোলার ক্রয় দুর্নীতির মূল হোতা, বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত বলে অবহিত করা হয়। এরপরই কর্মচারীদের বিচারের দাবিতে গত ২৪ আগস্ট তিন দিনের এবং ২৯ আগস্ট সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর গতকাল (৬ সেপ্টেম্বর) তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এছাড়া, পূর্বে এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির আবেদনের এবং এবার শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝোলানোর ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কর্মচারীদের মানববন্ধনের পরও কেন কোনও তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে ৩য় শ্রেণি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি দীপক চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রশাসনের একটি অংশ আমরা। অথচ এই বিষয়ে আমাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। আমরা এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ বলেন, কোনো শিক্ষক চাইলেই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হুমকি দিতে পারে না। তারা যেমন সেবা দেয় আমাদের অবস্থান থেকে আমরাও সেবা দেই।
তিনি আরো বলেন, উপাচার্য স্যার আমাদের জানিয়েছিলেন আবু তাহের স্যার ক্ষমা চেয়েছেন। এরপরও আবার এই ঘটনা কেনো গড়ালো এবং এখন পর্যন্ত যা হচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়। নিশ্চয়ই এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজনীতি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির বলেন, আবু তাহের স্যার, শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কর্মচারীদের মানববন্ধন ও আবেদনের পর তদন্ত কমিটি কেন গঠিত হয়নি সেটা তো আমি জানি না।