নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আইয়ুব আলীকে হেনস্তা, মারধরের চেষ্টা ও অফিস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপাচার্য কার্যালয়ে পিএস এর অফিসে এ ঘটনা ঘটে। পরে তিনি দুইজনের সহায়তায় রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইয়ুব আলী দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। পরে খাবার গ্রহণ শেষে অস্থায়ী ১৫-২০ জন কর্মচারী তার কার্যালয়ে আসেন। তারা আইয়ুব আলীর কাছে জানতে চাচ্ছিলেন ফাইল ভিসির কাছে পৌঁছেছে কিনা। এসময় আইয়ুব আলী ও অস্থায়ী কর্মকর্তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা আইয়ুব আলীকে মারধরের চেষ্টা ও অফিস ভাংচুর করেন। পরে একজন আইয়ুব আলীকে অফিস থেকে বের করেন। তারপর আইয়ুব আলী রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন। এসময় কর্মকর্তারা নিচে নেমে প্রশাসন ভবনের সামনে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় অস্থায়ী কর্মচারীরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত চাকরি স্থায়ী করণের আন্দোলন করে আসছি। আমরা পিএস এর কাছে জানতে চাচ্ছিলাম, সেই ফাইল ভিসির কাছে পৌঁছেছে কিনা। তিনি বলেন, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
মারধরের চেষ্টা ও ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই বিষয়টি আমরা জানি না। কোনো অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটাইনি। কে বা কারা এটি ঘটিয়েছে আমরা জানিনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভিসির পিএস আইয়ুব আলীর অফিসের চেয়ার টেবিল ভাংচুর এবং টেবিলে রাখা বিভিন্ন ফাইলসমূহ এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ।
এ ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, যারা এই কাজটি করেছে তাদের তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার হোক।
ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ আমি অফিসে ছিলাম। এসময় অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি টিটো মিজান, সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ভেতরে এসে তাদের ফাইল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আমি বলি, এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এ কথা শোনা মাত্রই তারা আমার ওপর চড়াও হয় এবং নানাভাবে আমাকে হেনস্তা করা হয়। একজন আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে বের করে। পরে রেজিস্ট্রার অফিসে চলে আসি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অফিসে হামলা করেছে একটি অপশক্তি। এই অপশক্তিকে আমাদের সকলে মিলে রুখতে হবে। তারা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমরা বিষয়টিকে কোনো ভাবেই ছাড় দিবো না।