৫ ঘন্টা পর উত্তরার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে: যান চলাচল শুরু

পিবিএ,ঢাকা: দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর উত্তরার পরিস্থিতি পুলিশ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে । চলতে শুরু করেছে যানবাহন।

রাজধানী উত্তরায় শিশু রিফাতের(৮) লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ চলা অবস্থায় ৪ টা ৩০ এর দিকে পুলিশ এ্যাকশন শুরু করলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানালেও তা না মানার কারণে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবারবুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে এ্যাকশনে গেলে পুরো পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। ভাংচুর করা হয় শতাধিক গাড়ি। আহত সংখ্যা প্রায় অর্ধ শতাধীক । বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে থাকলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা রাজলক্ষী বাসস্টান্ডে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এতে ভয়ানক যানজটের কবলে পড়েছে ঢাকা উত্তরের প্রতিটি সংযোগ সড়কসহ দক্ষিনে বনানী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এ যানজট।Uttara Razraksmi Road=PBAঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার আজমপুর মুন্সি মার্কেট এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে বিকালে দুই বন্ধুর সাথে ঘুড়ি উড়াতে যায় শিশু রিফাত। ঐদিন সন্ধ্যায় দুই বন্ধু ফিড়ে আসে। কিন্তু রিফাত বাড়ি ফিড়ে না আসায় শনিবার আজমপুর মুন্সি মার্কেট এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে দুই বন্ধুর সাথে ঘুড়ি উড়াতে যায় শিশু রিফাত। ঐদিন সন্ধ্যায় দুই বন্ধু বাড়ি ফিড়ে আসে। কিন্তু রিফাত বাড়ি ফিড়ে না আসায় রিফাতের বাবা মা তাকে খুঁজতে ঐ বাড়িতে যান। কিন্তু বাড়ির মালিক অজিদ কুমার তাদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন। ফিড়ে আসার পথে ঐ বাড়ির সামনে রিফাতের সেন্ডেল দেখতে পান তারা। পরবর্তিতে দক্ষিণখান থানায় বাড়ির মালিক অজিদ ও তার স্ত্রী রেখা রানীর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে প্রথম দিকে মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে পুলিশ মামলা নিয়ে তল্লাসি চালালে ঐ বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে শিশু রিফাতের লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু রিফাত উদ্ধারের তিনদিন অতিবাহিত হলেও আসামীরা থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। এখনও কাওকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে রিফাতের স্বজনেরা ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রিফাতের লাশবাহী কফিন নিয়ে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।

 


নিহত শিশু রিফাত দক্ষিণখান আব্দুল রশিদের পুত্র। তারা দক্ষিনখান মতিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

পিবিএ/জেআই

আরও পড়ুন...