ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা নিতে গেছেন। তারা ক্যাম্পাস ছাড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগেরই একটি অংশ।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাকে কলেজ প্রশাসনের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। এর একঘণ্টা পর সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাকে লেগুনায় করে ক্যাম্পাস থেকে ঢামেকে নেওয়া হয়।
এরপর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরোধী অংশের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেন।
এ অংশে আছেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোনালী আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, কল্পনা বেগম, জেবুন্নাহার শিলা, সুমনা মিম, মিলি আক্তার, সাদিয়া জাহান সাথী, তানজিলা আক্তার, তানজিলা মনি পরশ, মনিকা তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাবিকুন্নাহার তামান্নাসহ কয়েকজন।
আনন্দ মিছিলে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের একটি অংশ সভাপতি-সম্পাদক বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইডেন কলেজের অডিটোরিয়ামের সামনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত দশজন আহত হন।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ক্যাম্পাস থেকে বের না করা পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাবে বলে জানায় একটি পক্ষ। আরেকটি পক্ষ শনিবারের (২৪ সেপ্টেম্বর) ঘটনার ভুক্তভোগী পক্ষের অংশকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায়।
কলেজের দুই নম্বর গেটের সামনে একটি পক্ষকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা ‘রিভা রাজিয়া, মানি না, মানবো না’, ‘রিভা-রাজিয়ার, বহিষ্কার চাই, করতে হবে’, ‘রিভা রাজিয়ার ঠিকানা, ইডেনে হবে না’, ‘রিভা-রাজিয়া, ইডেন কলেজের লজ্জা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সে সময় আহত তামান্না জেসমিন রিভাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কলেজ প্রশাসন অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এলে রিভার অনুসারীরা তাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেন। তারা রিভাকে কলেজে এসে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি করেন। এ দাবির পেছনে তাদের শঙ্কা ছিল, একবার রিভাকে কলেজ থেকে বের করে দিলে তাকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। ঢুকতে না দিলে রিভা-রাজিয়ার অনুসারীদেরও হল থেকে বের করে দেওয়া হবে।
অবশেষে তারা দুজনই চিকিৎসার জন্য ঢামেকে গেছেন।