নাজমুল হুসাইন, ইবি : ইসলামীক ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড নেশন্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইইউমুনা) উদ্যোগে ‘ইন্ট্রা-ইসলামীক ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড নেশন্স-২০২২ ‘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া ‘শেকিং হ্যান্ডস টু রিফির্ম দ্যা ফান্ডামেন্টাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ডিগনিটি’ শীর্ষক জাতিসংঘের এই ছায়া সম্মেলন চলবে দুইদিন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম প্রধান অতিথি হিসেবে এই সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতা, মত বিনিময়, কূটনৈতিক দক্ষতার বিকাশ ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।’
ইসলামীক ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন্স অ্যাসোসিয়েশনের( আইইউমুনা) সভাপতি রাসেল মুরাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম জুয়েল, খুবির আইন ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, কাউন্সিল অব ট্রাস্টির সভাপতি ও আইইউমুনা’র প্রতিষ্ঠাতা সবুজ হোসেন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হিউম্যান রিসোর্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষার্থী কাজী সুরাইয়া ইভা।
জানা যায়, উক্ত কনফারেন্সে মোট সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া এবারের ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনে মোট পাঁচটি কমিটি রয়েছে। যথা- ইউনাইটেড ন্যাশনস সিকিউরিটি কাউন্সিল, ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশান, স্পেশাইলিজড কমিটি ফর বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স এবং ইনটারন্যাশনাল প্রেস।
এবিষয়ে ইসলামীক ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন্স অ্যাসোসিয়েশনের( আইইউমুনা) সভাপতি রাসেল মুরাদ বলেন, ছায়া জাতিসংঘে, মূল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আদলে একদল শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পক্ষে দাবি জাতিসংঘের সামনে তুলে ধরে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির এটি একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম।