ইবি ছাত্র আহত, মহাসড়ক অবরোধ, ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি

নাজমুল হুসাইন, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকের ধাক্কায় আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদ।তিনি বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে, ইট-পাটকেলসহ বিভিন্নভাবে মহাসড়ক অবরোধ করছেন। এসময় তারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, স্প্রিডব্রেকার ও ওভারব্রিজের দাবি জানান। একইসাথে দাবি মানা না হলে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। অবরোধের কারণে দেড় ঘন্টায় প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মালবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার যাত্রীরা ভোগান্তিতে পরেছেন।

প্রতক্ষ্যদর্শী ও প্রক্টরিয়ার বডি সূত্রে জানা গেছে, তৌহিদ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে তার হাতে গুরুতর আঘাত পায়। তবে ট্রাকটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কুষ্টিয়ার মধুপুর এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ আটক করতে সমর্থ হয়। তবে চালক পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর থেকে কুষ্টিয়া-খুলনা মহসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এক সপ্তাহের মধ্যে স্প্রিডব্রেকারে স্থাপনের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ঘটনাস্থলে এসে লিখিত আশ্বাস দেওয়ার দাবি জানান।

পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করে। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং উপাচার্যের বাসভবনের গেটে লাথি ও ধাক্কা মারে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফাহিম মুসাদ্দিক বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্প্রিডব্রেকারের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু প্রশাসনের টনক নড়ছে না। যতক্ষণ স্প্রিডব্রেকার ও ওভার ব্রিজ করার সিদ্ধান্ত আসবে না, আমরা রাস্তা থেকে সরবো না।

এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, ঘটনা শোনার পর থেকে ঘটস্থালে আছি আমরা। ভাঙচুর যেন না করে, আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানিয়েছি। ধাক্কা প্রদানকারী ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়েছি। অতিদ্রুত বিষয়টি সমাধান করে জনভোগান্তি কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।

আরও পড়ুন...