ইলিরা দেওয়ান
‘মাতৃভাষা’ নিয়ে লিখতে বসলে প্রথমেই আমি আমার শৈশবকে মিস করি। এ বড়বেলায় এসে যখন মাতৃভাষার মর্মার্থ খুঁজে ফিরি তখন কেবল শৈশবের দূরন্তপনা, একেবেঁকে বয়ে চলা সরু চেঙ্গী নদীতে দাপাদাপি, গ্রামের মেঠোপথের ধারে বিশাল বটগাছ, সেই বটগাছের নিচে টিউবওয়েল— যেটিতে সারাবছর আপনাআপনি পানি পড়ত দৃশ্যগুলো একে একে চোখের সামনে চলে আসে। কী ভীষণ ঠান্ডা ছিল সেই টিউবওয়েলের পানি! পাশেই ছোট্ট টিলার ওপর আমাদের ভাঙাচোরা প্রাইমারি স্কুল। গরমকালে টিফিনের সময় বৌছি, কাবাডি খেলে তৃষ্ণার্ত ছোট ছোট বাচ্চারা ঐ ঠান্ডা পানিতে তাদের উত্তপ্ত পরাণটাকে জুড়িয়ে নিত, আহ্! কী মিষ্টি ছিল শৈশবের এ স্মৃতিগুলো। শৈশবের এই একান্ত সময়গুলোর সাথে মাতৃভাষার সম্পর্ক যেন আষ্টেপৃষ্টে লেগে আছে। কারণ শৈশবে যা কিছু করেছি, ভেবেছি, কল্পনার ভেলায় চড়েছি সবই মাতৃভাষায় চিন্তা প্রসূত ছিল।
কিন্তু যত উপরের ক্লাসে উঠেছি ততই ‘বাংলা’ ভাষা নিয়ে ভীতির মধ্যে কুঁকড়ে থাকতাম। প্রাইমারি স্কুলে একজন বাঙালি শিক্ষককে কিছুদিনের জন্য পেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর সাথে কীভাবে কথোপকথন হয়েছে স্মরণ করতে পারছি না! যাহোক, হাইস্কুলে এসে তো মহাবিপদ! তখনকার সময়ে জেলার একমাত্র ভালো স্কুল বলে কথা, তাই ক্লাসে ‘বাংলা’ বলা ছিল আবশ্যক। গ্রামের স্কুলে পড়েছি, তাই বাংলাটা জিহবা ও ঠোঁটে ঠিক যুত লাগত না! ছোটবেলায় স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণ শিখেছি, কিন্তু ‘চ-ছ’ ‘ত-ট-ঠ’ এসব বর্ণ উচ্চারণের ভিন্নতা আমাদের মতন যারা ভিন্ন মাতৃভাষা থেকে এসেছি তাদের কাছে যেন দূর্বোধ্য, দূরের। হাইস্কুলে তো আর বর্ণ শেখাবে না! তবুও এসব গোলমেলে উচ্চারণ নিয়েই আমরা পড়ালেখা চালিয়ে নিয়ে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনে সচেষ্ট থেকেছি এটাইবা কম কিসে! তবে একটা বিষয়ে এখানে জোর দিয়ে বলতে পারি, উচ্চারণগত সমস্যা যাই থাক না কেন শুদ্ধ বানান চর্চায় বাঙালি বন্ধুদের চাইতে আমরা পাহাড়িরা সবসময় এগিয়ে থাকতাম।
খুব ছোটবেলার একটি ঘটনার কথা বলি। এক সন্ধ্যায় খালার সাথে হারিকেনের আলোয় এক টেবিলে পড়তে বসেছি। আমার বইগুলো ছিল তার পাশে। আমি এক বিষয় শেষ করে আরেকটি পড়ার জন্য তাকে বই দিতে বললাম। তখন আমার ‘বাংলা’ বলা হাতেখড়ি চলছিল। খালা জানতে চাইলেন কয়টা বই? উত্তরে বললাম-‘বেকগুলি!’ অর্থাৎ সবগুলো। চাকমা ভাষায় ‘বেক্কুন’-এর অর্থ হল ‘সবগুলি’। আমার ওইটুকুন জ্ঞানে জানা ছিল যে একাধিক বুঝাতে ‘গুলি’ ব্যবহার হয়, কিন্তু ‘সব’ শব্দটি আর জানা ছিল না। তাই চাকমা-বাংলা মিশেলে আমার বাংলা চর্চা চলতে থাকলো। আমার বিশ্বাস, বাংলা ভাষা নিয়ে প্রতিটি পাহাড়ি শিশুর অভিজ্ঞতা কমবেশি আমারই মতো।
কেবল ছোটবেলা নয়, বড় বেলায় এসেও বাংলা উচ্চারণের যাঁতাকলে পড়তে হয়েছে। এইচএসসি পাশের পর ঢাকায় এসেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে। আমার ইডেন পড়ুয়া বাল্যবন্ধুর বন্ধুদের সাথে নতুন পরিচয় ও আলাপ। ওই বন্ধুদের নাম মিতু ও মিঠু। কিন্তু আমি কোনোভাবে তাদের আলাদাভাবে ডাকতে পারতাম না। দুজনকেই ডাকতাম ‘মিটু’ বলে। এ নিয়ে কয়েক দফা তাদের হাসির খোরাকে পরিণত হলাম। শেষে আমি চ, ছ, ত, ঠ মিশ্রিত শব্দগুলো সযতনে এড়িয়ে বাংলা বলার চেষ্টা করতাম। শুদ্ধ বাংলা বলতে না পারা সেই নির্বোধ আমিই কিনা গত দশ বছর ধরে জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন জার্নাল, বইয়ে নিয়মিত লিখে চলেছি দাপুটে বাংলা ভাষায়। এটাই হল আজকের বাস্তবতা।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু করলাম। নতুন ক্যাম্পাস। নতুন ক্লাস। নতুন নতুন বন্ধু। এ ভূবনটাকে তখন অন্যরকম মতে হতো। প্রথম প্রথম বন্ধুরা আমার কাছে জানতে চাইতো— আমরা কী খাই, কিভাবে কথা বলি, কোন ভাষায় কথা বলি ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাবতাম, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছি তাদের মধ্যে কৌতুহল থাকতেই পারে। আমিও আগ্রহ নিয়ে তাদের কৌতুহল মেটানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু কিছুকাল যেতেই উপলব্দি হলো এ তো কৌতুহল নয়। তাদের মধ্যে একটা জাত্যাভিমান, তাচ্ছিল্যভাব কাজ করছে। একই ব্যাচে আমরা দুজন চাকমা ছিলাম। ক্লাসে যখন আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতাম তখন বাঙালি বন্ধুরা আমাদের বাংলা বলতে বলতো। কারণ তারা নাকি কথা বুঝতে পারে না। এমনকি ক্যাম্পাসের মধ্যে পাহাড়ি ছেলেমেয়েরা একত্র হয়ে আমরা যখন নিজেদের মধ্যে সিরিয়াস কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করতাম তখন পরিচিত কোনো বাঙালি বন্ধু হঠাৎ এসে কথার মাঝে বলে বসলো এই, তোমরা কী ভাষায় কথা বলো বুঝি না তো? ন্যুনতম সাধারণ জ্ঞান যাদের মধ্যে কাজ করতো না তাদেরকে তখন সরাসরিই আঘাত করতে হতো। তখন মুখের ওপর বলে দিতাম—নিজেদের মধ্যে আমরা তখনই বাংলায় কথা বলি যখন আমরা ফান মুডে থাকি। জাত্যাভিমানী বাঙালি জাতির এ প্রজন্ম অন্য আরেক সংস্কৃতিকে অর্থাৎ আমরা যারা ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে এসেছি তাদের ভাষা, তাদের সংস্কৃতি, তাদের আচারকে কীভাবে সম্মান জানাতে হয় সে সৌজন্যতা ও পরিমিতিবোধও আয়ত্ত করতে পারেনি। বইয়ের বিদ্যার মধ্যেই তারা ফ্রেমবন্দি হয়ে থাকে। রাষ্ট্র যদি এদেশের অন্যান্য জাতিসত্তার ভাষা, সংস্কৃতি, আচার সম্পর্কে সঠিকভাবে তথ্য তুলে ধরে পাঠ্যবইয়ে সন্নিবেশিত করতো তাহলে এ প্রজন্ম এদেশের বহু জাতি, বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি সম্পর্কে অন্ধকারে থাকত না। তাই রাষ্ট্রভাষার সাথে আমার মাতৃভাষার যে যোজন যোজন দূরত্ব, আমার সংস্কৃতির প্রতি ঔদাসীন্যভাব ঘোচানোর একমাত্র যোগসূত্র হবে সব ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি রাষ্ট্রের সমান গুরুত্ব দেওয়া।
২.
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০ তম অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব পাস করে এবং ২০০০ সাল থেকে বিশেষ মর্যাদা নিয়ে এদিনটি আর্ন্তজাতিকভাবে পালন শুরু হয়। বাংলা ভাষার এ গৌরবময় অর্জনে আমরা যারা অ-বাংলাভাষী রয়েছি তারাও নিঃসন্দেহে গর্বিত হয়েছি। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ওপর দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাষা ও বিশ্বে হারিয়ে যাওয়া ভাষাগুলো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও গবেষণার দায়বদ্ধতাও অনেকখানি বেড়ে যায়। এ প্রয়োজনীয়তা থেকে ২০০১ সালের ১৫ মার্চ জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানের উপস্থিতিতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট’-এর ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। যদিও এই মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আলোর মুখ দেখেছিল আরো নয় বছর পরে, ২০১০ সালে। ২০১০ সাল থেকে এ ইনস্টিটিউটটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে তার কার্যক্রম শুরু করে।
বাংলা ভাষার এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে একজন বাংলাদেশি হিসেবে যতখানি গর্বিত হয়েছি ঠিক তার বিপরীতে যখন দেখি চোখের সামনে আমাদের মাতৃভাষাগুলো প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে তখন কষ্টের জায়গাটা সেখানেই তৈরি হয়। এদেশে বাংলা ছাড়া আর কয়টি ভাষা আছে সেটি এখনো সরকারিভাবে নির্ণয় করা যায়নি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ২০১৪ সাল থেকে নৃ-ভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করেছে। এ সমীক্ষা থেকে কী প্রাপ্তি হয়েছে সেটি এখনো জানা যায়নি। সমীক্ষায় যদি পাঁচ বছর লাগে তাহলে বিলুপ্তপ্রায় ভাষাগুলোর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে নিতেই কিছু ভাষা হয়ত পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে।
তবে সরকারের দৃশ্যমান একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের মধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পাঁচটি ভাষায় (চাকমা, মারমা, ককবরক, গারো ও সাদ্রি) প্রাথমিক স্তরে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বই রচনা করেছে। কিন্তু এখানেও একটি গোজামিল তৈরি হয়েছে। সেটি হল স্ব স্ব ভাষায় প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অপ্রতুলতা। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি শিক্ষকের ঘাটতি না থাকলেও স্ব স্ব বর্ণমালায় প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই বললেই চলে। ফলে এখন এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে ছাত্র-শিক্ষক মিলে নতুন করে বর্ণমালা শিখছে। অন্যদিকে, সমতলের ক্ষেত্রে দেখা গেছে বই-পুস্তক থাকলেও সেসব পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অভাব। এ গোজামিলের সূত্রপাত মূলত স্ব স্ব বর্ণমালা লিখতে পড়তে পারা না-পারা থেকে শুরু হয়েছে। চাকমা ও মারমা ভাষায় নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। আর ককবরক ও গারো রোমান হরফে এবং সাদ্রি ভাষা বাংলা হরফে লেখা হয়েছে। যারা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা সঙ্গে জড়িত তাদের ৯৯ শতাংশই স্ব স্ব বর্ণমালা লিখতে পড়তে জানেন না। শুধু বই দিয়ে তো চিড়ে ভিজবে না। সুতরাং আগে শিক্ষকদের বর্ণমালা পরিচিতির প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সম্প্রতি পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো শিক্ষকদের বর্ণমালা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাঁচটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষায় বই ছাপা হলেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের আগে প্রশিক্ষণ না দেওয়ায় গত দুই বছরে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। ফলে হাজার হাজার বই ছাপা হলেও সেগুলো এখনো কোনো কাজে আসছে না।
এ বছর আদিবাসীদের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল, ২০১৯ সাল ‘আন্তার্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। ২০১৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০১৯ সালকে ‘আন্তার্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। যদিও ‘আদিবাসী ভাষা বর্ষ’ উদযাপন নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মুখে কুলুপ এঁটে আছে। জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের মতে, বিশ্বে ব্যবহৃত ৬৭০০ ভাষার মধ্যে ৪০ শতাংশই বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। যার সিংহভাগই হল আদিবাসীদের ভাষা। সারা বিশ্ব পরিমন্ডলে ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগতভাবে আদিবাসীদের ভাষা আজ পিছিয়ে রয়েছে। আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতায় বিশ্ব অনেক বেশি বৈচিত্রময় ও রঙিন হয়ে ওঠেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই সারাবিশ্বে ঝুঁকিতে থাকা ভাষাগুলো সংরক্ষণের জন্য স্ব স্ব দেশের বিশেষ নজর দেয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ যে বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সাথে ভাবতে হবে সেটা হল চাকমা, মারমা, ককবরক, মান্ডি ভাষায় কথা বলার মানুষ তুলনামূলক বিচারে এখনো অনেক আছে। তাই এ ভাষাগুলো হয়ত সহসা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এদেশে এখনো অনেক ভাষা আছে যেগুলো মানুষের সংখ্যাগত স্বল্পতা ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের কারণে নিজস্বতা হারিয়ে আরেকটি ভাষার সাথে মিশে যাচ্ছে। আর অনেক ভাষা আছে যেগুলো যেকোনো সময় পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে পারে। তাই এদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের ভাষা সংরক্ষণের জন্য আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও সরকারকে আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শুধু সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহার ও চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে ভাষা রক্ষার দায় থেকে মুক্তি খোঁজা বোকামি হবে। এখানে আমাদের বুঝতে হবে যে, সারাবিশ্বে বাংলা ষষ্ঠতম বৃহত্তম ভাষা। তাই বাংলা ভাষা পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। অথচ বাংলা ভাষাকে যতটা গুরুত্ব দিয়ে সচল ও সংরক্ষণ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় ঠিক ততটাই অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাষাসমূহ রক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। যে জাতি মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে সে জাতির কাছ থেকে এমন উদাসীনতা মোটেই কাম্য নয়।
লেখক: হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ;
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন,
পিবিএ/শআ