পিবিএ,ঢাকা: অভিজাত এলাকায় সরবরাহ করা হতো ক্রিস্টাল মেথ ( আইস) মাদক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ( ডিএনসি), ঢাকা দক্ষিণ তৎপরতায় ৫০০গ্রাম আইস(ক্রিস্টাল মেথ) সহ এক যুবককে গ্রেফতার।
সাম্প্রতিক সময়ে সংঘবদ্ধ মাদক সিন্ডিকেটের কার্যক্রম নিয়মিত নজরদারি করতে গিয়ে। লালবাগ সার্কেলের পরিদর্শক মো. মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে গতকাল সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ওয়ারী হাটখোলা রোড এলাকায় অবস্থিত গ্রীন জোন টাওয়ার থেকে চন্দন রায় (২৬) নামে যুবকে ৫০০গ্রাম আইস( ক্রিস্টাল মেথ) সহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
বুধবার (২নভেম্বর) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দক্ষিণের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজল।
তিনি জানান, মুলত গ্রেফতার যুবকে বেশ কয়েকমাস পর্যবেক্ষণ করছিলো একটি গোয়েন্দা টিম। এর আগেও ২০২০ সালে লাগেজ পার্টির ব্যবসা করতে গিয়ে ধরা খেয়ে জেলও খাটেন চন্দন।
অল্পদিনে আরও বেশি লাভের আশায় গোল্ড ও লাগেজের কারবার বাদ দিয়ে মাদক বানিজ্য শুরু করেন। জিজ্ঞাবাদে চন্দন জানায় ডিগ্রি পাশ করে কেমিক্যাল কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পরেন। একটা সময় প্রবাশে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জয়াম। সেখানেই আত্বীয় শংকর বিশ্বাস ও পরিচিত নোয়াখালীর বাসিন্দা হাবিবের মাধ্যমে আইস পাচারের চক্র গড়ে তোলেন চন্দন।
এর আগেও ২০২২ সালে ৬০০ গ্রাম আইস সহ আরও ৫ জন গ্রেফতার হয়েছিলো সে। বাংলাদেশে ক্রিস্টাল মেথ সহজলভ্য না হওয়ায় এর একটা বড় চাহিদা রয়েছে অভিজাত এলাকায়। অভিজাত এলাকার তরুনদের মাঝে মূলত সে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে মাদক সরবরাহ করতো সে।
অত্যন্ত উচ্চমূল্যের মাদক আইস এর দাম প্রতি গ্রাম সেবনকারী পর্যায়ে ৫০০০ টাকা। টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসতে প্রতি কেজির মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩৫০০০০০( পয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা।
এছাড়াও তারা আরও জানায় ভয়ংকর এই মাদকের প্রভাবে মস্তিষ্কের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং রক্তক্ষরন হতে পারে। হৃদযন্ত্র, কিডনি,লিভারে অল্প সময়ের মধ্যে ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া বিকৃত যৌনাচারসহ কোন কোন ক্ষেত্রে আত্বহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়।