গ্রীনল্যান্ড দ্বীপের ৯০% জায়গা বরফে ঢাকা, তবে এতো ধনী কিভাবে?

‘গ্রীনল্যান্ড’ নামটা শোনার পরে আপনার মাথায় যদি প্রথমেই সবুজে ঢাকা কোন পাহাড় বা কোন সবুজ বনাঞ্চলের ছবি ভাসে, তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন! কারণ গ্রীনল্যান্ডে সবুজ নেই বললেই চলে। বরং এই জায়গাটার নাম যদি রাখা হতো হোয়াইটল্যান্ড, তাহলেই বরং মানানসই হতো। কারণ একুশ লক্ষ বর্গমাইলের এই বিশাল দ্বীপের প্রায় নব্বই ভাগ এলাকাই তো সাদা বরফে ঢাকা!

সাধারণ জ্ঞানের বইতে গ্রীনল্যান্ডের নামটা সবাই পড়েছেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বীপ এই গ্রীনল্যান্ড। কিন্ত এই জায়গাটা সম্পর্কে কতটুকু জানি আমরা? কি আছে এই গ্রীনল্যান্ডে? এটা কি আলাদা কোন দেশ? কোন মহাদেশের ভেতরে পড়েছে গ্রীনল্যান্ড? কারা থাকে এখানে? চলুন, আজ আপনাদের গ্রীনল্যান্ডের গল্প শোনাই।

আইসল্যান্ড নিয়ে আমাদের অনেক ভুল ধারণা আছে। আমরা মনে করি আইসল্যান্ড সম্ভবত এন্টার্কটিকা এর মত বরফে ঢাকা! আসলে তা নয়।

আইসল্যান্ড আসলে কেমন তা বুঝতে হলে এর সাথে গ্রিনল্যান্ড এর তুলনা করতে হবে।

কি ভাবছেন ? গ্রিনল্যান্ড মানে পুরো দেশটা সবুজে ঢাকা আর আইসল্যান্ড বরফে ঢাকা ? তাহলে আপনার ধারণা ভুল।

আইসল্যান্ড এর মাত্র ১১% সারা বছর বরফ থাকে। আর গ্রিনল্যান্ডের ৮০% বরফের নিচে থাকে সারা বছর। তারমানে আইসল্যান্ড বরফের দেশ নয়। তবে শীতের সময় বড় একটা অংশ বরফে ঢাকা থাকে।

আপনার প্রশ্ন ছিল আইসল্যান্ড এতো ধনী কিভাবে ? আইসল্যান্ড-এর আয়তন বাংলাদেশের তিন ভাগের ২ ভাগ। মানে ১ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারের একটু বেশী। এতো বড় এই দেশে জনসংখ্যা মাত্র সাড়ে তিন লাখ। ঢাকার ফার্মগেট ওভার ব্রিজের চারদিকে তাকালে হয়তো এর চেয়ে বেশী মানুষ দেখবেন হা হা হা । বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা মেহেরপুরের জনসংখ্যাও আইসল্যান্ড এর দিগুন। বাংলাদেশের দ্বীপ জেলা ভোলার জনসংখ্যা আইসল্যান্ড এর ৩-৪ গুন।

আইসল্যান্ড প্রধান আয় হয় মাছ শিকার থেকে। জিডিপির ৪০% আসে মাছ থেকে। চাষ নয় সাগরের মাছ। তারপরে অন্যতম ব্যবসা এলুমিনিয়াম ৩৮%। টুরিজম থেকে প্রচুর আয় করে তারা যা জিডিপির প্রায় ১০%। এতো বড় দেশের এতো কম জনসংখ্যা তাই ধনী না হয়ে উপায় আছে ?

আরও পড়ুন...