পিবিএ,ঢাকা: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের টার্গেট করতো প্রতারক চক্রটি। পরে তাদের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডার বানানোর লোভনীয় অফার দেওয়া হতো। অফারে ভিকটিমরা রাজি হলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যেতো চক্রটি।
শনিবার বেলা ১১টায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এভাবে প্রতারক চক্রটি গত ১৫ বছর ধরে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে আনুমানিক একশ’ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় মানুষজনের কাছ থেকে।
শুক্রবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শনিবার (০২ মার্চ) সকাল ৭টা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি টিম রাজধানীর মিরপুর, দারুস সালাম, উত্তরা ও রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভুয়া নথিপত্র ও সরঞ্জাম জব্দসহ প্রতারক চক্রের ২২ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- ইমরান হাসান (২৭), হুমায়ুন কবির হালিম (৫৭), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৯), আব্দুল বারী আব্দুল আউয়াল (৪০), শাহাদাত হোসেন (৩০), মো. মিনহাজ (৫৬), কামরুজ্জামান (৪৬), মো. হাবিবুর রহমান (৩৫), সঞ্জিত সাহা (৩৪), মেহেদি হাসান হাবিব (৩১), ইউসুফ (৫৩), মামুনুর রশীদ চৌধুরী (৩৪), মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ওরফে আব্দুল জলিল (৫০), মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান (৩৫), মো. রফিকুল ইসলাম (৬৪) এবং মো. মিজান (৩৫)।
মুফতি মাহমুদ বলেন, সুসজ্জিত অফিস ও দামি গাড়ি ভাড়া নিয়ে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অফিস খুলতো চক্রটি। পরে টার্গেট করা লোকদের কৌশলে অফিসে এনে ভুয়া চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে নিতো। তাদের বলা হতো এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে কিছুদিন যাওয়ার পর তাদের কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার করার প্রস্তাব দেয় চক্রটি।
পিবিএ/জেডআই