কোনো রাজনৈতিক কার্যালয়ে

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীও এমন বর্বরতা চালায়নি: কর্নেল অলি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, সরকার যে কাজ করেছে সেটা একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীও এমন বর্বরতা কোনো রাজনৈতিক কার্যালয়ে করেনি। কারও বাসায় করেনি। পুলিশ তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লুট করেছে। আসলে সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করেনা।

মঙ্গলাবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

অলি বলেন, ‘বিএনপির বড় প্রাপ্তি এই সরকারকে বিশ্বের কাছে উলঙ্গ করেছে। কারণ দুনিয়ার মানুষ জেনেছে যে, সরকারের মনুষ্যত্ব নেই। পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিলে এই কাজ করেছে। তাদের মনে রাখতে হবে অত্যাচার চালিয়ে কোনো স্বৈরশাসক টিকতে পারেননি।’

এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে এই সরকারকে বিদায় করার জন্য যা করা দরকার করতে হবে। আমরা তাদের পাতা ফাঁদে পা দেবনা। আইন মোতাবেক সব করা হবে। বিএনপিকে আরও শক্তিশালী হয়ে কর্মসূচি দিতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। যাদের লোকবল আছে তাদেরকেই সঙ্গে নিন। শূন্য যোগ শূন্য সমান শূন্যই হয়। যারা ওয়ানম্যান শো তাদের পরিহার করে, যাদের যাদের শক্তি ও অবস্থান আছে তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে।’

অলি আহমদ বলেন, ‘এই সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার। তারা অর্থনীতি পঙ্গু করে ফেলেছে। ফলে বিশ্বের কাছে অনুরোধ আজকে কেউ এককভাবে চলতে পারেনা। আসুন সবাই মিলে কাজ করি।’

এলডিপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে আলাপ করে ১০ দফা ঘোষণা করেছি। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব। আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে। সরকারের পালানোর সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ৭ ডিসেম্বরের পর তারা সেই সুযোগ বন্ধ করে ফেলেছে। এখন জনগণ তাদের বিচার করবে।’

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার তীব্র সমালোচনা করে অলি আহমদ বলেন, ‘আজকে মানুষের জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ অসহনীয় পরিস্থিতিতে বাস করছে। আজকে সরকারের পতন অনিবার্য।’

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব আটক নেতাকর্মীর অবিলম্বে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান কর্নেল অলি আহমদ।

এর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এলে তাঁকে স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।

এসময় এলডিপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—নেয়ামুল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, মোর্শেদ, সাকলায়েন, কফিল উদ্দিন, আবুল হোসেন ভুঁইয়া, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন...