পিবিএ,ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা যেহেতু এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছি অতএব বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের যারা নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের কেউ সংসদে যাবে না। এটা বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। এখন ঐক্যফ্রন্টের দুইজন সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের জানা মতে ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত না যাওয়ার পক্ষে। এটা নিয়ে আমাদের কোনো মতামত নেই। গণফোরাম তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি তারা সংসদে অংশগ্রহণ করবে। তখন আমরা আমাদের যে বিধিবিধান আছে এবং ঐক্যফ্রন্টের যে সিদ্ধান্ত আছে সেই প্রেক্ষাপটে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জোটের দুই প্রার্থী শপথ নিয়ে সংসদে গেলে বিধি অনুযায়ী ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নেবে- জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যদি কেউ সংসদে যায় তাহলে ঐক্যফ্রন্টের ক্ষতি হবে না।
রবিবার (৩মার্চ) দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি ।
মোশাররফ আরও বলেন, আগামী ৫ মে উপজেলা নির্বাচনে হবে। আমরা শুনতে পাচ্ছি এখানে নির্বাচন কমিশন ৯ কোটি টাকা উপরে বাজেট করেছে। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে চার কোটি টাকার উপরে বাজেট ছিল। আমরা বলতে চাই একাদশ জাতীয় নির্বাচন দেখে জনগণের ভোটের প্রতি যে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে জনগণ আর এই সরকারের প্রতি আস্থা রাখে না। তাই বিএনপি এই নির্বাচনকে বয়কট করেছে। নৌকায় যারা নমিনেশন পাবে তারাই নির্বাচিত। এখানে তো ভোটের প্রয়োজন হয় না। তাই আমি মনে করি নতুন করে জনগণের ৯ কোটি টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই। তাই জনগণের এই টাকা অযথা ব্যয় না করবার জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন মো. জসিম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, আলহাজ মো. নাজিমুদ্দিন মাস্টার, সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কৃষক দলের সদস্য জিয়াউল হায়দার পলাশ, এস কে সাদী, মো. মাইনুল ইসলাম, নাসির হাজারী, হাজী সাখাওয়াত হোসেন নান্নু, মো. আলিম হোসেন, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
পিবিএ/এফএস