দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোনো শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিকর বা বেদনাদায়ক এবং আক্রমণাত্মক ব্যবহার, ব্যঙ্গ করে নাম ধরে ডাকা, বদনাম করা, লাথি মারা, বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি করা বা উত্যক্ত করা, এমনকি অবহেলা বা এড়িয়ে চলে মানসিক চাপ দেওয়া র্যাগিং-বুলিংয়ের পর্যায়ে পড়ে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে শিক্ষাসচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান সই করা এ নীতিমালাটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, র্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং-বুলিং হয় কি না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং-বুলিং অপরাধ প্রতিরোধে অভিযোগ বক্স রাখার ব্যবস্থা করবেন এবং অভিযোগের গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নিয়মিত সভায় মিলিত হয়ে এ সংক্রান্ত মনিটরিং কার্যক্রম পর্যালোচনা করবেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবেন। এক্ষেত্রে র্যাগিং-বুলিংকারী শিক্ষক অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে পাঠাবেন।
সংশ্লিষ্ট অধিদফতর বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে। বুলিং-র্যাগিংকারী শিক্ষার্থী হলে এর ধরন ও গুরুত্ব অনুযায়ী বিধিমালা অনুযায়ী সাময়িক বা স্থায়ী বহিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং ঘটনার গুরুত্ব সাপেক্ষে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
প্রতি ছয়মাস অন্তত একবার প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এ বিষয় থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজন করবে।