পিবিএ,কুবি প্রতিনিধি: যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২১শে ফ্রেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে শহিদদের স্মরনে ১ মিনিট নীরবতা পালন এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পর্যায় ক্রমে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা পরিষদ,কর্মচারী পরিষদ,বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ, ছাত্র পরামর্শক এবং নির্দেশনা দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং সংগঠন সমূহ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার চেতনা জাগ্রত হয় ভাষাকে কেন্দ্র করেই। এই ভাষার উপর ভিত্তি করে বাঙালী জাতি একত্রিত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যে চেতনা সেই চেতনার মূলে ছিল বাঙালি ভাষার ঐক্য এবং অধিকারের প্রশ্ন। এই কারণে মুক্তিযুদ্ধারা হাসি মুখে জীবন দিয়ে এ দেশটি স্বাধীন করেছেন।’
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন,’পৃথিবীতে হাজারেরও বেশি ভাষা রয়েছে। কিন্তু বাংলা ভাষা যেন অফিশিয়াল ভাষা না হয়, পূর্ব বাংলার মানুষ যাতে বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারে সেজন্য পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীরা একটা ভিন্ন ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা সুদূরপ্রসারী একটা ষড়যন্ত্র ছিলো। সেই জায়গা থেকেই ভাষা আন্দোলনের শুরু। ভাষা আন্দোলন হলো বাঙালী জাতির মাথা নত না করার আন্দোলন। এর পরবর্তী যে কয়েটি আন্দোলন হয়েছিল তার মূলমন্ত্র ভাষা আন্দোলনের মধ্যে নিহিত ছিলো।’
এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, সাধারণ সম্পাদক ড. মো: মোকাদ্দেস-উল- ইসলাম, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।