শরীফ উদ্দিন, দক্ষিণ আফ্রিকা: আনিসুল হক মিলন দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকে মোবাইল ফোনে বাংলাদেশে থাকা তার এক আত্নীয় মেয়ের সঙ্গে গত ১৫ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল। তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পূর্বে আর্থিক সচ্ছলতার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন। বাংলাদেশে গিয়ে জাঁকজমক পূর্ণ বিবাহের অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে ঘরে তুলে নিবেন। সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। গত শুক্রবার (২৪ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার দিকে এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েষ্টার্ণকেপ প্রদেশের বেফুর্ট ওয়েস্ট শহরের লোকানকা নামক এলাকায় এন-১ সড়কে ভয়াবহ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫জন বাংলাদেশি ঘটনাস্থলে নিহত নিয়েছে। তখন আনিসুল হক মিলন (৩৫) গুরুতর ভাবে আহত হন। একেই গাড়ীতে তার সাথে থাকা আরো ১ বাংলাদেশি আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়ে তিনি আশংকামুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন। কিন্তু বিধাতার নিয়মে মৃত্যু তার নির্ধারিত স্থানেই হয়েছে।
শুক্রবার দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আনিসুল হক মিলন স্থানীয় জর্জ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৪দিন চিকিৎসাধীন থেকে সোমবার (২৭ফেব্রুয়ারি) তিনি বিকাল ৪টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি….. রাজিউন।
নিহত আনিসুল হক মিলন ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভুইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রামানন্দপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির বাহার মিয়ার ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পূর্বে জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে একসাথে সড়ক দুর্ঘটনায় এত সংখ্যক বাংলাদেশির মৃত্যু কখনো ঘটেনি। এ ঘটনায় ইসলামিক ফোরাম অব আফ্রিকা’র সভাপতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। এবং দেশটিতে বসবাস করা প্রবাসি বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।