নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত একমাস আগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুন হল পরিবর্তন করে নতুন হলে উঠেছেন। রবিবার (১২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পাবনা ও কুষ্টিয়া পুলিশের নিরাপত্তায় বাবার সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে উঠেন ফুলপরী। এই হলেই তার নামে বরাদ্দ হওয়া আসনে থাকবেন তিনি বলে জানা যায়।
এ সময় ফুলপরি খাতুন বলেন, আজ প্রথম দিনের মতোই অনুভূতি কাজ করছে। দুশ্চিন্তা বা কোনো ভয়-সংকোচ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না সে-রকম কোনো সংকোচ নাই।
এসময় আগামীকাল থেকে ক্লাস শুরু করার কথাও জানান তিনি।
এদিকে ফুলপরির সাথে আসা তাঁর বাবা আতাউর রহমান বলেন, মেয়েকে রেখে গেলাম। পাঁচ বছর পর যেন ভালোভাবে বাসায় ফেরে এটাই চাওয়া।
এ সময় ওই হলের দায়িত্বে থাকা আবাসিক শিক্ষিকা নুসরাত সুলতানা বলেন, আমরা ফুলপরিসহ হলের সকল শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। আশা করি, আর এমন ঘটনা ঘটবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন করা হয় নবাগত ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে। পরে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল কতৃপক্ষ, শাখা ছাত্রলীগ এবং উচ্চ আদালত কতৃক পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিটি তদন্ত কমিটিতে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যায়।
এরই প্রেক্ষিতে গত ০৪ মার্চ অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে এবং কেন তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার কারণ দর্শানোরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাসছুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।