বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার মিডিয়ার সহযোগিতায় বোঝাতে চায় দেশ খুব ভালো আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। দেশে অর্থনৈতিক ভয়াবহ সঙ্কট শুরু হয়েছে।
শনিবার (২২ এপ্রিল) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দোয়া করেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদার জিয়ার রোগ ও কারাগার থেকে মুক্তির জন্য, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য, এই সরকারের অন্যায় ও জুলমের শিকার হয়ে আমাদের যে নেতাকর্মীরা জেলে আছেন তাদের মুক্তির জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেন তার গণতন্ত্র ফিরে পায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আমাদের যেন এটা কর্মীরা সাহস নিয়ে অংশ নিতে পারে তার জন্য দোয়া করেছি। মানুষ যেন জেগে ওঠে গণতন্ত্র উদ্ধারে আমরা সেই জন্য দোয়া করেছি।
মহাসচিব বলেন, এবারের ঈদ আমার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছে। অন্যদিকে এদেশে সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির কারণে এই ঈদ উপভোগ করার জন্য যতটুকু জিনিসপত্র দরকার তা তারা কিনতে পারেনি। এবার ঈদের বাজার কিন্তু জমে উঠতে পারেনি। কারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। সরকার মিডিয়ার সহযোগিতায় বুঝাতে চায় দেশ খুব ভালো আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। দেশে অর্থনৈতিক চরম সঙ্কট শুরু হয়েছে।
ফখরুল বলেন, এদেশের জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের অধিকার অর্জন করেছে, আদায় করেছে। আমরা বিশ্বাস করি আন্দোলনের মাধ্যমেই এ দেশের জনগণ তাদের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
সঙ্কট থেকে উত্তরণ উপায় কী হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, সঙ্কট থেকে উত্তরণের একটাই পথ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সেই কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।