বিয়ের অনুষ্ঠান যেন ফ্যাশন শো ও পরকীয়ার আরেক আতুড়ঘর!

ঈদের পরের কয়েকদিন বিয়ের আয়োজন -এখন সংষ্কৃতি হয়ে উঠেছে।মাশাআল্লাহ চাকুরীজীবি,প্রবাসীসহ সকলের জন্যই এটা সুবিধাজনক।
সাংষ্কৃতিক বিবর্তনে আমাদের সমাজের বিয়ে গুলোতে পবিত্রতা ও শালীনতা ঊঠে যাচ্ছে। তার পরিবর্তে স্থান পাচ্ছে ফ্যাশন শো,বেহায়াপনা এবং নিজ বলয়ে ধনী -গরীব নির্ধারনের সেতুবন্ধন। সাধারনত কমিউনিটি সেন্টারেই শুভবিবাহ ও বউভাতের আয়োজন করা হয়। অধিকাংশ বিয়েতেই ফ্যাশন ও বেহায়াপনা নিয়ে যা হয় -তাতে কেউ দ্বিমত করবেনা।এমনকি এখান থেকেই পরিচয় ও চোখে লাগা থেকেই পরকীয়া ও সংসার ভাংগার সুত্রপাতও হয়।তরুন- তরুণীদের মনেও ঝড় উঠে,অভিভাবকের অজান্তে ও অমতে জীবন সাজানোর সুচনাও হয় এখান থেকেই।
আরেকটি রোগ সংক্রমিত হচ্ছে তা হলো- নিজেদের মধ্যে গ্রেডিং তথা ধনী -গরীব শ্রেনীকরণ।স্টাটাসের দোহাই দিয়ে রক্ত সম্পর্কের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়,আবার কাউকে বঞ্চিত রাখা হয়।(মানে প্রচন্ড ব্যস্ততায় ভুলে গিয়ে ছিলাম আর কি)।
আফসোস, একই শহরে বা লোকালয়ে বাস করে,সকলের মাঝে রক্ত সম্পর্কীয় হিসাবে পরিচিত, অথচ বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকেই নেই।তাদের পরিবর্তে জায়গা পেয়েছে নতুন নতুন বন্ধু বান্ধব ও অভিনব আত্মীয়রা।
আয়োজক পরক্ষণে মারা গেলেই ওই দাওয়াত বঞ্চিতরাই হয়তোবা কবর খনন,খাটলি বহন থেকে শুরু করে অসহায় পরিবারের কান্ডারি হবে কিন্তু আনন্দের সময়টাতেই শুধু তারা নেই।
নব দম্পত্তির মাথায় হাত বুলিয়ে আন্তরিক দোয়া শুধু নিজেদের মুরুব্বীদের থেকেই আশা করা যায়। ভাড়াটিয়া আত্মীয় কি সেই হক পুরণ করতে পারে?
ইসলামের স্বর্ণযুগের ন্যায় মসজিদকেন্দ্রিক সংষ্কৃতি চালু হলে উপরোক্ত সবগুলো বিপত্তিই অনেকটা এড়ানো সম্ভব হতো।
পচন ধরা এই সমাজে তা প্রত্যাশা করার কোন সুযোগ আছে কি?
লেখক: মোঃ তাহমিদুর রহমান, কলামিষ্ট।

আরও পড়ুন...