রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে ডলারের দাম আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে। এই দফায় রপ্তানির প্রতি ডলারের দাম এক টাকা ও রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রতি ডলারে রপ্তানিকারকরা ব্যাংক থেকে পাবেন ১০৭ টাকা।
প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। ডলারের এই নতুন দর আজ থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার বিকালে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) এক বৈঠকে ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রপ্তানি আয়ের প্রতি ডলারের দাম ছিল ১০৬ টাকা ও রেমিট্যান্সের ছিল ১০৮ টাকা। রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বাড়ানোর ফলে এখন থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারে পাবেন ১০৭ টাকা। রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়ানোর ফলে এখন থেকে প্রতি ডলারে প্রবাসীরা পাবেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রতি ডলারে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। প্রণোদনাসহ প্রতি ডলারে তারা পাবেন ১১১ টাকা ২১ পয়সা। আগে প্রতি ডলারে পেতেন ১১০ টাকা ৭০ পয়সা।
এর আগে ২ মে ডলারের দাম এক দফা বাড়ানো হয়েছিল। এক মাস পর আবার বাড়ানো হলো। গত ৬ মাস ধরে প্রতি মাসে ডলারের দাম গড়ে এক টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে।
ডলার সংকটে বাজারে এর দাম বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ানোর জন্যও এর দাম বাড়ানো হচ্ছে। যাতে প্রবাসীরা বাড়তি টাকা পেতে দেশে রেমিট্যান্স পাঠান ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পায়।
আগে আন্তঃব্যাংকের ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকলেও মে-র প্রথম দিকে এর দাম বেড়েছে। আগে প্রতি ডলারের দাম ১০৭ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা বেড়ে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সার ওঠেছে। তবে এখন কিছুটা কমে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সায় নেমেছে।
তবে আন্তঃব্যাংকে ডলারের লেনদেন কম হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ডলারই আগাম বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতি ডলারে গড়ে ১১০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে আমদানির ডলারের দাম নির্ধারিত হয় এটি কেনার খরচের ভিত্তিতে। এখন রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে ডলার কেনার খরচও বাড়বে। ফলে আমদানিতেও ডলারের দাম বাড়বে। এতে আমদানির খরচ আরও বাড়বে।
মনিতেই ডলারের দাম বাড়ায় আমদানির খরচ বেড়েছে। সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। নতুন করে ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে আমদানির খরচ আরও বাড়বে। এতে মূল্যস্ফীতির হারে আরও বাড়তি চাপ পড়বে।