মোঃ রিফাতুন্নবী রিফাত,গাইবান্ধা: মাস খানেক আছে আর কোরববানি ঈদের। তাই আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৭ টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া রয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে জানা যায়, এ জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৭০টি পশু।
সরোজমিনে (২ জুন) সারাদিন ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ও খামারীদের এসব পশু স্থানীয়ভাবে দাড়িয়াপুর, লক্ষীপুর,মাঠেরহাট, সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট ও শোভাগঞ্জ বাজার হাটসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। এসব স্থানে কোরবানীযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, মহিষ, গাভী, বলদ, ছাগল ও ভেড়া কেনা-বেচা হবে। অনেকে সরাসরি খামার বা কৃষকের বাড়িতে গিয়েও কিনতে পারবেন। তবে খামারীদের অভিযোগ, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন। পশুকে অতিরিক্ত দামে খাদ্য খাওয়ায়ে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।
পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া লিয়াকত আলী বলেন, সরকারী চাকুরী জীবনে প্রতিবছর কোরবানি দিয়েছি একক ভাবে। তাছাড়া চাকুরি থেকে অবসর নেয়ার পরেও কয়েক বছর একক ভাবেই কোরবানি দিয়েই আসছি। কিন্তু এ বছর তা ব্যর্তয় ঘটবে। কারণ, সবকিছু দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। তাই এবার ঈদে যৌথভাবে কোরবানি দেয়া ছাড়া কোনো বুদ্ধি দেখছি না।
সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় এলাকার খামারী আজিজার রহমান জানান, কোরবানি উপলক্ষে দেশী জাতের ৩ টি গরু বিক্রির জন্য রাখছেন। গেল দুই বছর আগে করোনা পরিস্থিতে এ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সর্বত্রই চেষ্টা করছেন। কিন্তু সম্প্রতি গো-খাদ্যের দামবৃদ্ধির ফলে কোরবানির গরুর ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা আছেন।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সরকার জানান কৃষক-খামারীরা যাতে করে ভালো দাম পায়, সে ব্যাপারে তাদের প্রণোদনা দেওয়াসহ অন্যান্যভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনো কোরবানি পশুর হাট তেমন টা জমেনি। বিক্রয়যোগ্য হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল দল থাকবে। আশা করছি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গা কোরবানি পশুর চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিক রাখবে।