তাজমহলের চমকপ্রদ ১০ তথ্য, যা এর আগে কখনো শোনেননি!

taj-mahal-pic-PBA

পিবিএ ডেস্ক: প্রেমের সমাধি তাজমহলের ইতিহাস এর পাথরের মতই পুরনো ও মূল্যবান।

মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬৩২ সালে তার মৃত স্ত্রী ‘মমতাজ’ র স্মৃতিকে জীবন্ত করে রাখতেই নির্মাণ করেন তাজমহল। যা আজও পুরো পৃথিবীর কাছে ভালবাসার এক অভূতপূর্ব উদাহরণ।

তাজমহল ভারতের আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। নান্দনিক এই স্থাপত্য ভারতের সকল ঐতিহাসিক সৃষ্টির মধ্যে সেরা এবং তাদের গর্বের শিখর।

আসুন, আমরা এই নিদর্শনের কিছু ঐতিহাসিক চমকপ্রদ তথ্যকে জেনে নিই-

১. তাজমহল বানাতে শ্রমিক, চিত্রশিল্পী, পাথর খোদাইকারী, সূচিকর্ম শিল্পীসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে প্রায় ২২,০০০ মানুষ একযোগে কাজ করেছিল।

২. ইতিহাস অনুযায়ী তাজমহলের নদীর অন্য দিকে কালো মার্বেল এর আরেকটি তাজমহল নির্মাণের পরিকল্পনা সম্রাট শাহজাহানের ছিল বলে মনে করা হয় কিন্তু তার পুত্রদের সঙ্গে যুদ্ধে তার সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

৩. এটি দিনের বিভিন্ন সময় ভিন্ন-ভিন্ন রঙ ধারন করে। সকাল বেলা এটার রঙ থাকে গোলাপী, সন্ধ্যায় সাদা এবং রাতে সোনালী, এক কথায় রঙ এর এক অপূর্ব বাহার।

৪. ২২,০০০ লোক কাজ করার পরও তাজমহল বানাতে প্রায় ১৭ বছর লেগে যায়।

৫. এমনটি বলা হয়ে থাকে যে, মমতাজের মৃত্যুর পর সম্রাট শাহজাহান হঠাৎ করেই বুড়ো হয়ে যান। যেন মনে হয় তিনি অল্প সময়ে অনেক বয়স পার করে ফেলেছেন।

৬. তাজমহল দেখতে চতুর্দিক থেকেই একই রকম। সম্পূর্ণ অভিন্ন ও অদ্ভুত।

৭. চারপাশে বাগান, একটি মসজিদ, একটি গেস্ট হাউজসহ প্রায় ১৭ একর জমি নিয়ে তাজমহল তৈরী যা একটি জটিল দেয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত।

৮. তাজমহলের উচ্চতা ১৭১ মিটার বা ৫৬১ ফুট!

৯. তাজমহলের নির্মাণের উপকরণ পরিবহনের জন্য ১০০০ হাতি ব্যাবহার করা হয়।

১০. ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজরা এর গা থেকে অনেক মূল্যবান পাথর খুলে তাদের দেশে নিয়ে যায়।

যদিও তাজমহল একটি ভালবাসার চিহ্ন তবুও এর ইতিহাসের পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক কষ্ট, রয়েছে অনেক নির্মমতাও। এটি তৈরির পর সকল শ্রমিকের হাত কেটে দেয়া হয় যেন তারা আর এমন একটি নিদর্শন তৈরি করতে না পারে। তবুও বলতেই হয়, এটি একটি অদ্ভুত সৃষ্টি। আসলেই এটি একটি ভালবাসার অনন্য উদাহরণ।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...