অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা চলবে ট্রাইব্যুনালে: হাইকোর্ট

অর্পিত সম্পত্তি আইনের ধারা ৯, ১৩ এবং ১৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা এখন থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। অন্য কোনো আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা চলবে না।

আদালত রায়ে বলেন, অর্পিত সম্পত্তি আইনের ৯, ১৩ এবং ১৪ ধারা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি নয়। অর্পিত সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে এবং জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে লিজ দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় যারা এদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যায়, তাদের সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। পরে ১৯৭৪ সালে এসে সেসব সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি করা হয়।

অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে প্রথম আইন হয় ২০০১ সালে। যা কার্যকর হয় ২০১২ সালে। সরকারের এই আইনের উদ্দেশ্য ছিলো প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেয়া। কিন্তু এর আগেই অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে লাখ লাখ মামলা হয়।

২০১২ সালে চট্টগ্রামের দুই ব্যক্তি গেজেট হওয়ার আগেই তাদের অর্পিত সম্পত্তি বিচারাধীন ছিলো দাবী করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে পারে কি না তা নিয়েও একটি রিট হয়।

তবে এ রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে ৩ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি। সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের আগে হওয়া অর্পিত সম্পত্তির লাখ লাখ মামলা বাতিল করে দিলেন। বলবৎ হয় ২০১২ সালের আইনের ধারাটি। এ রায়ের পর ফলে জেলা প্রশাসকদের অর্পিত সম্পত্তি লিজ দেয়ার আইনও বহাল থাকলো। রিটকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক বলছেন, তারা আপিল করবেন।

আরও পড়ুন...