`ভারতে হামলার জন্য জঙ্গিদের ব্যবহার করছে আইএসআই’

pervez

পিবিএ ডেস্ক : পাক সেনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জইশ জঙ্গিদের যোগসূত্রের গুঞ্জণ দীর্ঘদিনের। জঙ্গিদের ভারত-হামলার পিছনে যে পাক সেনার মদত রয়েছে তা নিয়েও জল্পনা ছিলই। কিন্তু প্রতিবারই তার বিরোধিতা করে এসেছে পাকিস্তান। এবার সেই গুঞ্জণের পক্ষে সাক্ষ্য দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশারফ । পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম হাম নিউজের সাংবাদিক নাদিম মালিকের নেওয়া একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান তিনি। ওই সাক্ষাৎকার সাংবাদিক নিজের ফেসবুক এবং টুইটার পেজে শেয়ারও করেছেন। জইশের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি। আইএসআইয়ের নাম না করেই মুশারফ সাক্ষাৎকারে বলেন, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদকে পাক গোয়েন্দা সংস্থা ভারতের উপর হামলার জন্য কাজে লাগায়। যদিও এমনকি ২০০৩ সালে ডিসেম্বরে তাকেও দু’বার হত্যার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা।

১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন মুশারফ। সে সময় তিনি সবই জানতেন। এত কিছু ঘটল অথচ সবটা জানা সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি জইশ-ই-মোহাম্মদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিলেন না কেন? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন পাক-প্রেসিডেন্ট জানান, তখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। ভারত এবং পাকিস্তান ‘নিজেদের সীমানা পেরিয়ে ক্রমাগত বোমা বর্ষণ করে চলেছে।’ এবং তার দেশের গোয়েন্দা সংস্থা প্রত্যক্ষভাবে এর সঙ্গে যুক্ত। পাক সেনাও তাতে মদত দিত। এই অবস্থায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এটাই অবশ্য প্রথম নয়, গণতন্ত্রের ভিত যে কোনও দিনই মজবুত নয় পাকিস্তানে, সেনাবাহিনীর ভূমিকাই যে গুরুত্বপূর্ণ এবং পাকিস্তানের মানুষও সেনাবাহিনীকেই বেশি ভরসা করতে শিখেছেন, ২০১৬ সালে ‘ওয়াশিংটন আইডিয়াজ ফোরাম’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খুব সহজভাবে এই সত্যি কথাটা সরাসরি কবুল করে নিয়েছিলেন মুশারফ আগেও।

এতদিন পাকিস্তানের তরফেও জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। পুলওয়ামা হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলের চাপে পাকিস্তান সদ্য জইশ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার দাবি করছে। মাসুদ আজহারের দুই সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ও ফলাহ-ই-ইনসানিয়তের বিরুদ্ধে গতকাল অর্থাৎ বুধবারও অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান। পাক সরকারের অর্থসচিব স্বীকার করে নিয়েছেন, মে মাসের মধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন এফএটিএফের কালো তালিকায় পড়তে হবে তাদের। তা সত্ত্বেও পাক সেনা কিন্তু এখনও দাবি করে চলেছে, সে দেশের মাটিতে জইশের কোনও অস্তিত্বই নেই।

পিবিএ/জিজি

আরও পড়ুন...