পিবিএ,ঢাকা-রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচার,সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী পাইয়ে দেয়া প্রতারণা চক্রের প্রধান মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদসহ(৩৯) ৫জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩২টি পাসপোর্ট,৭টি জাল ভিসা, ১টি বিমানের জাল টিকেট, ৩৪ লক্ষ টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ১৫টি স্বাক্ষরিত ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্প, একটি ল্যাপটপ, ২টি কম্পিউটার, ১টি কালার প্রিন্টার, ৫টি মোবাইল ফোনসহ চাকুরীর অসংখ সিভি জব্দ করা হয়।
শুক্রবার উত্তরায় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং প্রতারক চক্রটিকে নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরখান, উত্তরা, মিরপুর বেড়ী বাঁধ এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের প্রধান আসাদুজ্জামান আসাদসহ(৩৯),ওসমান গাজী(৪৮), টিপ সুলতান(৫৫) ও লিটন মাহমুদ (৩৫) সিরাজুল ইসলামকে(৫২) গ্রেফতার করা হয়।।
র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রাকিবউজ্জামান জানান, প্রতারক চক্রটি অনেক দিন ধরে বিদেশে লোক পাঠানো নয়ত সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে চারকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে একেক জন চাকুরী প্রার্থীর কাছ থেকে ১০থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত।
তিনি জানান,প্রতারক চক্রের প্রধান আসাদুজ্জামান আসাদ উত্তরায় অফিস খুলে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ইউরোপ আমরিকায়সহ বিভিন্ন দেশের ভিসা করে পাঠানোর কথা বলে সহজ সরল দরিদ্র মানুষকে টার্গেটে নিত। তারপর জালিয়াতি প্রতারণার মাধ্যমে টুরিষ্ট ভিসা কখনো জাল ভিসা জাল টিকিট প্রদানের মাধ্যমে ৫ থেকে ১৫লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত। চাকরী প্রার্থীদের অফিসের আনা এবং জাল ভিসা প্রস্তুতের জন্য ওসমান গাজী, টিপ সুলতান ও লিটন মাহমুদ তাকে সহায়তা করত। ঘড়ি বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকুরী প্রার্থী জোগাড় করে দিত বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সারওয়ার-বিন-কাশেম।
পিবিএ/এসআই/জেডআই