‘বিয়ে নিবন্ধনে পাত্র-পাত্রীর থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত তথ্য কেন নয়’

বংশগত রক্ত স্বল্পতাজনিত রোগ থ্যালাসেমিয়ার বিস্তার রোধে নীতিমালা তৈরির জন্য সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে আনা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

৩০ দিনের মধ্যে এ কমিটি গঠনের পর ছয় মাসের মধ্যে নীতিমালার একটি খসড়া আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

থ্যালাসেমিয়ার বিস্তার রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে এবং বিয়ে নিবন্ধন ফরমে পাত্র-পাত্রীর থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত তথ্য রাখাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাবে দিতে সোমবার এক আদেশে বলা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম খান দাউদ।

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, থ্যালাসেমিয়ার বিস্তার রোধে সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিবাদীদের ছয় মাস পরপর নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট। আর পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৭ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত ১৫ জুন মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জনস্বার্থে রিটিট দায়ের করেন।

আরও পড়ুন...