আইএসের মর্টার হামলা থেকে বেঁচে গেলেন কারজাই

karzai

পিবিএ ডেস্ক : বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। আজ শুক্রবার কাবুলে একটি রাজনৈতিক সমাবেশ চলাকালীন মর্টার হামলা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন আফগান চিফ এক্সিকিউটিভ আবদুল্লা আবদুল্লা এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজ়াই। দু’জনেই অক্ষত রয়েছেন। এ পর্যন্ত অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জখম কমপক্ষে ১৬। এর মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী (জুলাই মাসে নির্বাচন) আব্দুল লতিফ পেডরামও। তার অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। এই মুহূর্তে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনাও চলছে। আইএস-হামলা তাই যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।

হেজ-এ-ওয়াহদাত পার্টির নেতা আবদুল্লা আলি মাজ়ারির ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পশ্চিম কাবুলে সভার আয়োজন হয়েছিল। কয়েক শো’ শিয়া মুসলিম জড়ো হয়েছিলেন সেখানে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্দেহ, মুসালা-এ-মাজ়ারি চত্বরের ওই ভিড়ই লক্ষ্য ছিল জঙ্গিদের। এর আগে মাজ়ারিকেও হত্যা করেছিল তালেবান। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত কারজ়াইয়ের মতো বড় মাথারাই হয়তো নিশানা ছিলেন।

সভা মঞ্চ থেকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রাক্তন স্পিকার মহম্মদ ইউনুস কানুনি বলেছিলেন, ‘সবাই শান্ত থাকুন। বিস্ফোরণের খবর এসেছে। কিন্তু সেটা এখান থেকে অনেক দূরে।’ এর কয়েক মুহূর্ত পরেই সভার মধ্যে বিস্ফোরণ। সেই সঙ্গে গুলির আওয়াজ। এ সময় লোকজন পালাতে থাকেন। এরপরেও কেউ একজন মাইকে বলতে থাকেন, ‘সবাই শান্ত থাকুন। দূরে কোথাও বিস্ফোরণ ঘটেছে।’ কে বলেছিলেন, তাকে আর চিহ্নিত করা যায়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালাউদ্দিন রব্বানিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি টুইটারে জানান, ‘সন্ত্রাসবাদীরা রকেট হামলা চালিয়েছিল। কোনও মতে পালিয়ে বেঁচেছি।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কথায়-‘ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে বাড়িটি থেকে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল, সেটি ঘিরে ফেলেছে স্পেশ্যাল ফোর্স।’ আশপাশের বাড়িগুলিও ফাঁকা করে এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে।

পিবিএ/জিজি

আরও পড়ুন...