শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিদেশিরা আজকাল আমাদের নানা রকম ছবক দেয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। অথচ ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীরা যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল তখন মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়নি? তাদের বিচার বন্ধ করা হলো, তখন মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়নি? সেই সময় বিদেশিরা চুপ ছিল। যারা বছরের পর বছর মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করেছে, তারাই আজ মানবাধিকারের কথা বলছে।
মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির ওপর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো, তখন মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়নি। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তাকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি, তখন মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়নি। শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের বিচার চাইতে পারেননি, সেই সময় বিদেশিদের মানবাধিকারবোধ ঘুমিয়ে ছিল।
ডা. দীপু মনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সারাদেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। তারা দিনের পর দিন হামলা-ধর্ষণ-লুটপাট চালিয়ে গেছে, তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার? বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কমপক্ষে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তখন বিদেশিরা চুপ করে ছিল কেন? বর্তমানে শত বাধা পেরিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, আর এখনই বিদেশিরা আমাদের নানা রকম ছবক দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ প্রমুখ।