বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির শিষ্টাচার বোঝে না: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির শিষ্টাচার বোঝে না। তারা অনন্তপক্ষে ২১ বার আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ৭৬ কেজি বোমা, ৪৮ কেজি বোমা, গ্রেনেড হামলা, সরাসরি গুলি কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটা রাজনীতি আর কোনটা অপরাজনীতি। এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে পথ চলতে হবে।
রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কথা উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেছেন, রাজনীতিতে শিষ্টাচারের প্রয়োজন রয়েছে। যে রাজনীতি আমাদের দেশপ্রেম শিক্ষা দেয়।

বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের অনেক সবক আমরা বিভিন্ন জায়গায় থেকে শুনি। এই দেশের মানুষ মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। যারা আমাদের সবক দিতে আসেন তাদের কারোই অতো ত্যাগের ইতিহাস নেই। যারা আমাদের মানবাধিকারের কথা বলে তাদের কণ্ঠ ১৯৭১ সালে কোথায় ছিল? ঐ সময় তারা তো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে ছিল। ’৭৫ এ তারা তো সরাসরি যুক্ত ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে। সেদিন যারা নিহত হয়েছেন তাদের মানবাধিতার ছিল না? বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না? ২০০৪ এর ২১ আগস্টে ১৯৭৫ এর অসমাপ্ত কাজ করার জন্য সেই ঘাতকরা শেখ হাসিনাকে শুধু হত্যা করা নয়, সমগ্র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল। সেদিন আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হয়েছিল। তাদের মানবাধিকার ছিল না। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে মাসের পর মাস এই বাংলাদেশে হত্যা ধর্ষণের যে ভয়াবহতা আমরা দেখেছি, তাদের কোনো মানাবধিকার ছিল না। মানবাধিকার শুধু আছে সেই সব ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধ যারা করেছে তাদের। কারণ তাদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য সেই সব দেশের কর্তাব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বারংবার ফোন করেছেন, চাপ প্রয়োগ করেছেন।

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যসূচিতে সত্য ইতিহাস তুলে ধরবো। অতীতে যে ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলেছে তা থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। তরুণ প্রজন্মকে সত্য ইতিহাস জেনে সামনে এগোতে হবে। নতুন পথ রচনা করতে হবে।

আরও পড়ুন...