সোহাগ হাসান,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস মনির হোসেন ওরফে মনি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ ঘটনায় আসামী আব্দুল কাদের (১৯) ও মাহবুব হাসান রিমন (২৫) নামের দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা দুজনেই শাহজাদপুরের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই’র সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
তিনি জানান, গত ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর মনির হোসেন ওরফে মনি বাড়ী থেকে হতে বের হয়। পরবর্তীতে বাড়ীতে ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। পরের দিন ১২ নভেম্বর ২০২২ তারিখ ভোরে শাহজাদপুর থানার রুপপুর নতুনপাড়া গ্রামে করতোয়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতে পিতা মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ২১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২১। শাহজাদপুর থানা পুলিশ ভিকটিমের ময়না তদন্ত— রিপোর্ট ও মামলাটির তদন্ত শেষে ভুল রিপোর্ট আদালতে দাখিল করলে বাদী বিজ্ঞ আদালতে নারাজির আবেদন করেন। বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন।
গোয়েন্দা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী আব্দুল কাদের এবং মাহবুব হাসান রিমন গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মনির হোসেন আসামী আব্দুল কাদের, রিমন এবং অজ্ঞাতনামা ২ জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তারা সকল বন্ধু প্রায়ই একসাথে গাঁজা সেবন করতো। ১০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে সন্ধ্যা রাতে আসামী রিমন, আঃ কাদের, মনির এবং অজ্ঞাতনামা বন্ধুরা থানার ঘাট ব্রিজের পাশে নদীর ধারে এক সাথে বসে গাঁজা সেবন করে। গাঁজা সেবন করার সময় সকল আসামীরা ভিকটিমকে গাঁজার টাকা দিতে বললে ভিকটিম টাকা দিতে না পারায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামী আঃ কাদের, রিমন ও অন্য ২ জন বন্ধু মিলে মনিরের মুখে, বুকে ও মাথায় কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে। আসামীদের মারপিটে ভিকটিম মাটিতে পড়ে গিয়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে সকল আসামী মিলে ভিকটিমকে নৌকায় তুলে মাঝ নদীতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।