পিবিএ ডেস্ক: নারী দিবসে মহিলাদের বিশেষ সম্মান জানাতে উদ্যোগী রেল কর্তৃপক্ষ। তাই আজ আন্তর্জাতিক ‘নারী দিবসে’ মহিলা কর্মীদের হাতে রেল পরিচালনার ভার তুলে দিল কর্তৃপক্ষ। টিকিট বিক্রি থেকে টিকিট পরীক্ষা, এমনকী বিশেষ ক্ষেত্রে রেল চালনার গুরু দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে প্রমীলাবাহিনীর হাতে।
শুক্রবার ভোরে কাউন্টার খুলে যাত্রীদের স্বাগত জানান মহিলা বুকিং কর্মীরা। এইকারণে সব কাউন্টারে মর্নিং শিফটের দায়িত্বে মহিলা কর্মীদেরই রেখেছে রেল। শুধু হাওড়া, শিয়ালদহ ও শহরতলির কাউন্টারেই নয়, রিজার্ভেশন কাউন্টারগুলিতে টিকিট সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও যাত্রীদের মুখোমুখি হচ্ছেন মহিলা কর্মীরা। হাওড়া, শিয়ালদহের মতো বড় স্টেশনগুলির অনুসন্ধান কেন্দ্রগুলির ভারও আজ মহিলাদের হাতে। ট্রেন ছাড়ার আগে পর্যন্ত যাবতীয় তদারকি পর্বে তো বটেই, এমনকী ট্রেনে কর্তব্যরত সব কর্মীই মহিলা। তবে সব ট্রেনে নয়। রেলকর্তাদের কথায়, মহিলা চালক ও গার্ড সংখ্যায় কম। তাই সব ট্রেনে এই ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। শিয়ালদহের মাতৃভূমি স্পেশাল ও আরও কয়েকটি ট্রেনে যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি নারীশক্তির পরিচালনায় ছাড়া হবে। ট্রেন চালাবেন মহিলা ড্রাইভার, সিগন্যাল দেবেন মহিলা পার্ক, যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করবেন মহিলা টিটিই।
এমনকী নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকছে আরপিএফের মহিলা কর্মীরা। পূর্ব রেলের তিনটি ট্রেন– শহিদ এক্সপ্রেস, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ও গণদেবতা এক্সপ্রেসেও আপাদমস্তক পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মহিলা রেলকর্মীরা। আমজনতার প্রতি রেলকর্তাদের হুঁশিয়ারি, ‘লেডি টিটিই’ থাকবেন শুনে কেউ যেন বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণের সাহস না করেন। কারণ, ওঁদের কর্তব্যপরায়ণতা এতটাই যে, একজন বিনা টিকিটের যাত্রীরও রেহাই পাওয়া অসম্ভব।
পাশাপাশি আজ নারী দিবসে হাওড়া স্টেশন ভবনটি ফ্যাসেড লাইটে পিংক বর্ণের হয়ে উঠবে। নারীজাতিকে সম্মান জানাতে রাষ্ট্রসংঘ ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চ প্রথম নারী দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হয়। ভারতীয় রেলও এদিনটি মহিলা কর্মীদের সামনে এনে প্রকৃত সম্মান জানাতে চায়। পুরুষের সমকক্ষ হয়ে সব কাজে দক্ষ মহিলারাও। তাই বৃহস্পতিবার বিকেলে রেলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নারী দিবসের প্রথম শিফটের দায়িত্বে থাকবেন মহিলারা।
পিবিএ/জেআই