জামায়াত আমির-সেক্রেটারিসহ ৯৬ জনের বিচার শুরু

নাশকতার অভিযোগে ২০১২ সালে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির ৯৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলায় তাদের বিচার শুরু হলো।

বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি হেমায়েত উদ্দিন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ দিন আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে এপিপি হেমায়েত উদ্দিন খান শুনানি করেন।

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, একই দিনের ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়। আসামি গোলাম পরওয়ারের বিরুদ্ধে একই দিনে খুলনায় দায়ের করা এক মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার চলমান রয়েছে। তারা এসময় আসামিদের অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করেন।

শুনানির একপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, এ মামলা প্রমাণে পর্যাপ্ত ভিডিও ও অডিও ফুটেজ রয়েছে। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী কামাল উদ্দিন বলেন, যদি এ মামলার আসামি ডা. শফিকুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এমন কোনো ভিডিও ফুটেজ কেউ দেখাতে পারেন, তাহলে তাকে এক কোটি টাকা পুরস্কার দেব এবং আইনপেশা ছেড়ে দেব। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন শুনানিতে বলেন, আসামিরা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য মতিঝিলের টয়নবি সার্কুলার রোডে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর জামায়াত-শিবিরের ২০০/৩০০ নেতাকর্মী বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি ও আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের কাজ করে। দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান সুমন বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে মোট ৯৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আউয়াল হোসেন। এদের মধ্যে আসামি আব্দুর জব্বার মারা গেছে। অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ২৭ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া মামলাটি বিচারের জন্য ১৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন...