পি কে হালদারের জামিন আবেদন খারিজ

অসুস্থ মাকে দেখতে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করা পি কে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদারের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।

সোমবার এ আবেদন জানান তারা। শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্য জনিত কারণে পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার (৭৯) বর্তমানে কলকাতার বাগুইহাটির ভিএআইপি অ্যাপেক্স মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি।

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে নগর দায়রা আদালতের (ব্যাংকশাল) স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ এর বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তোলা হয়।

এসময় পি কে হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিন আবেদন জানানো হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে শুনানিতে আইনজীবী শ্যামল ঘোষ জানান, লীলা দেবী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তিনি তার ছেলেদের দেখতে চেয়েছেন।

অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পি কে হালদার কয়েক হাজার কোটি টাকা তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত ও একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি বাইরে গেলে তথ্য লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনকি তিনি বিদেশে পালিয়েও যেতে পারেন।

একই সঙ্গে এ মামলায় আরেক অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারের শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার জামিনের আবেদন করা হয়। তার জামিনেরও বিরোধিতা করেন অরিজিৎ চক্রবর্তী। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক ১৭ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

বর্তমানে পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ আসামিকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। অন্যদিকে একমাত্র নারী আসামি শর্মী হালদার রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

আরও পড়ুন...