চলতি বছরেই পূর্বাচল বসবাসের উপযোগী হবে : গৃহায়ন ও গণপুর্তমন্ত্রী

Housing-Minister_PBA-2

পিবিএ, ঢাকা : গৃহায়ন ও গণপুর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানীর পাশের উপশহর পূর্বাচল আগামী ডিসেম্বরেই বসবাস উপযোগী হবে। আজ শনিবার রাজউকের পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প এলাকা ও কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্প পরিদর্শনের সময় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। রেজাউল করিম বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতায় পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে দেরি হয়েছে। এই বছরের মধ্যেই উত্তরা প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া সকল বাসিন্দারাই বসবাস উপযোগী প্লট পাবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার ছিল সেভাবে পারিনি। এখন সেই প্রতিবন্ধকতা প্রায় শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০১৯ সালের ভেতরে নাগরিক সেবা দিয়ে বরাদ্দ প্রাপকরা যেন বসবাস করতে পারেন, আমরা সেই উপযোগী করে দিব।’ পূর্বাচলের যে ৮৪ টি প্লট নিয়ে বিতর্ক উঠেছে, তা ভুল ধারণার উপর সৃষ্টি হয়েছে বলে দবি করেন রেজাউল করীম। প্রকল্পের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পে বিলম্ব ঘটিয়ে ব্যয় বাড়ানো কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।

বহুল আলোচিত পূর্বাচলের আইকনিক টাওয়ার নির্মাণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় বাকি রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কারণ আমাদের দেশের ওয়েদারের কথা ভাবতে হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে সে টিকে থাকতে পারবে কি না, এসব বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অন্যান্য যেসব প্রক্রিয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে শেষ হওয়ার পরে আইকনিক টাওয়ারের নির্মাণ শৈলীটা সামনে চলে আসবে।

Housing-Minister_PBA-3

যে প্লটগুলো নিয়ে বিতর্ক উঠেছে আমি রাজউকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এবং মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলেছি। উনারা বলেছেন, একটা ভুল ধারণাপ্রসূত হয়ে এই মামলাটা করেছে। হাই কোর্টের নির্দেশনা ছিল নেচার চেঞ্জ যেন না হয়। আমার কাছে এ পর্যন্ত ইনফরমেশন, হাই কোর্টের যে নির্দেশনা ছিল, তার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। তারপরও সাবজুডিস ম্যাটারে বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এটাই সবচেয়ে বড় কোনো প্রকল্প যেখানে যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা রাখা হচ্ছে। যেখানে ঢাকায় সাত থেকে আট ভাগ ফাঁকা জায়গা আর এখানে ৪৫ ভাগ ফাঁকা জায়গা। মন্ত্রী জানান, পূর্বাচল প্রকল্পের মধ্যে যেসব বৈদ্যুতিক লাইন টানা হয়েছে সেটা সাময়িক এবং দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য। ভবিষ্যতে মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মন্ত্রীর সঙ্গে রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প এবং ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্পের পরিচালকসহ রাজউকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পিবিএ/জিজি

আরও পড়ুন...