ইশ সৌধির স্পিনে চাপে টাইগাররা

ইশ সৌধির স্পিন বিষেই জয়ের স্বপ্ন ফিকে বাংলাদেশের। এক উইকেটে ৬০ রান করে ভালো পজিশনেই ছিল বাংলাদেশ।

এরপর ইশ সৌধির স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ৩২ রানের ব্যবধানে তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়ের পর দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের উইকেট। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।

ইনিংসের শুরুতে বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ রানে ফেরেন তরুণ ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিম।

দীর্ঘদিন পর খেলতে নামা সৌম্য সরকার ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাওহিদ হৃদয় ফেরেন মাত্র চার রান করে। তার বিদায়ে ১৪.১ ওভারে ৭০ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৫৪ রান করে নিউজিল্যান্ড।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের গতির মুখে পড়ে যায় কিউইরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ‘দ্য ফিজে’র বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার উইল ইয়াং। বৃহস্পতিবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করা ইয়াং এদিন ফেরেন শূন্য রানে।

অন্য ওপেনার ফিন অ্যালানকেও সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ফিন। তার বিদায়ে ২৬ রানে ২ ওপেনারকে হারায় নিউজিল্যান্ড।

এরপর নিউজিল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়অ পেসার খালেদ আহমেদ। তার বলে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন চ্যাড বোস। তার বিদায়ে ৭.৫ ওভারে দলীয় ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

ব্যাটিং বিপর্যয়ে দলের হাল ধরেন হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল। চতুর্থ উইকেটে তারা ১১১ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন। তাদের এই জুটিতে খেলায় ফেরার পাশাপাশি বড় স্কোর গড়ার পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।

২৬.১ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১৩১ রান। এরপর সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কিউইরা। ৬১ বলে ৪৯ রান করে খালেদ আহমেদের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন হেনরি নিকোলস।

ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে শেখ মেহেদি হাসানের শিকার হওয়ার আগে ১০ রান করেন রাচিন রবিন্দ্র। ৬৬ বলে ৬ চার আর এক ছক্কায় সাহায্যে ৬৮ রান করে হাসান মাহামুদের শিকারে পরিনত হন টম ব্লান্ডেল।

ম্যাকেঞ্জিকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান নাসুম আহমেদ। কাইল জেমিসনকে ফেরান শেখ মেহেদি। এরপর লুকি ফার্গুনসনকেও ফেরান মেহেদি। ৩৫ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইশ সৌধি।

আরও পড়ুন...