
সাকিব-তামিম ইস্যুতে এমনিতেই টালমাটাল দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটাররাও যেন লড়াই করতে ভুলে গেলেন। আর তাই ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অল্পেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারও টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩৪.৩ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে মাত্র ১৭১ রান করেছে টাইগাররা।
এদিন সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টসের পরেই বৃষ্টি নামে। ফলে কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় তৃতীয় ওয়ানডে। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ তামিম ও জাকির হাসান।
এ ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে জাকিরের। তবে প্রথম ম্যাচ রাঙাতে পারেননি তিনি। ৫ বলে মাত্র ১ রান করেছেন এ ব্যাটার। পরের ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন তামিম। ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হওয়া এ ওপেনার ৫ বল খেলে ৫ রান করেন।
চারে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। তবে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। মিলনের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে ১৮ রান করেন এ ব্যাটার।
৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ছিল বাংলাদেশ। তবে এরই মাঝে ঘটে ছন্দপতন। এর মাধ্যমে ভাঙে দুজনের ৫৩ রানের জুটি।
লকি ফার্গুসনের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন মুশফিক। লকি ফার্গুসনের বলটা তিনি ব্লক করেছিলেন ঠিকঠাকই। তবে বাড়তি পেসের বলটা ড্রপ করে চলে যায় স্ট্যাম্পে। পা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। মুশফিক ফেরেন ১৮ রানে।
এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শান্ত। দুজনের ব্যাটে দলীয় শতক পূরণ করে বাংলাদেশ। এরপরই ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান শান্ত। ম্যাককঞ্চির বলে ৫৫ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি পূরণ করেন তিনি।
রিয়াদ দারুণ কিছু শটে ভালো কিছুর আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত হতাশা উপহার দিয়েছেন। ২১ রানে আউট হন তিনি। এরপর মাহেদীও বেশি কিছু করতে পারেননি। ফিরেছেন ১৩ রানে।
একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করছিলেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে তিনিও ৭৬ রানে ফিরলে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ২০০ পেরোনোর স্বপ্ন।
মাত্র ৩ রানে শেষ চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে মিলনে চারটি, বোল্ট ও ম্যাককঞ্চি দুটি এবং লকি ফার্গুসন ও রাচীন রবীন্দ্র একটি করে উইকেট শিকার করেন।