সোহাগ হাসান , সিরাজগঞ্জ: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান প্রবর্তন করেছে।
রবিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ব বিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৪তম সিন্ডিকেট সভায় ছুটির বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এই বিধিতে প্রচলিত সকল ছুটির সাথে ১৫ দিনের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান প্রণীত হয়েছে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে ২৪ তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জহুরুল ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুব্রত ভৌমিক, লেজিসলেটিভ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. ফিরোজ আহমদ, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা এবং রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী উপস্থিত ছিলেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তরুণ ও মেধাবী শিক্ষকগণ পাঠদান করছেন। পাশাপাশি তরুণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও রয়েছেন। তাদের সন্তানদের দেখাশুনার জন্য আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধানটি আমলে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন সন্তানের কাছে মা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক বাবার ভুমিকাও তেমনই। এই দিক বিবেচনা করে আমাদের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ যারা নব্য বিবাহিত তারা সর্বোচ্চ দুবার পিতৃত্বকালীন ছুটি নেয়ার সুযোগ পাবেন।
শাহ্ আজম আরও বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান থাকার ফলে মায়ের পাশাপাশি পিতাও সন্তানকে দেখাশোনা করার সুযোগ পাবেন। এই সুযোগটি তাদের উদ্বেগজনক অবস্থা মোকাবিলায় সহায়ক হবে এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণা হিসাবে কাজ করবে। যার ফলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অধিক মনোযোগী হবে, যা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক লক্ষ্য অর্জনে অগ্রসর হতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও উক্ত সিন্ডিকেট সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদিত হয়েছ। প্রণীত শৃংখলা বিধি শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ, শৃংখলা ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন রবীন্দ্র উপাচার্য।