
ফ্ল্যাট পিচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ইংল্যান্ড। সময়ের সঙ্গে বাড়ল রানের গতি। একসময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের হাতে। তবে শেষদিকে এসে নিজেদের খুঁজে পেলেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের গতি কমলেও বড় সংগ্রহ নিয়েই বিরতিতে গেছে ইংলিশরা।
ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান করেছে ইংল্যান্ড। ম্যাচ জিততে চাইলে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে।
রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। শুরু থেকেই দেখে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার। ধীরে ধীরে আক্রমণের গতি বাড়ান তারা।
উদ্বোধনী জুটিতে ১১৫ রান যোগ করেন বেয়ারস্টো ও মালান। ভয়ংকর হয়ে ওঠা জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান সাকিব। তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হন ৫২ রান করা বেয়ারস্টো। অবশ্য এর আগে ফিফটি পূরণ করেন মালান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। যেখানে ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে একেরপর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে থাকেন মালান। দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ৩২তম ওভারে সেঞ্চুরির স্বাদ পান তিনি।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পেতে মালান খেলেন ৯১ বল। সেঞ্চুরির পর আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এ ব্যাটার, পরের ১৬ বলে করেন ৪০ রান। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ ব্যাটারকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে আটকে ফেলার সূচনা করেন মাহেদী হাসান।
১৪০ রানে মালান ফেরার পর ৮২ রানে আউট হন জো রুট। এরপর আর কেউই ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। যেখানে বল হাতে আলো ছড়ান মাহেদী ও শরিফুল ইসলাম। এই দুজনের দারুণ বোলিংয়ে বড় স্কোর পায়নি ইংলিশরা।
বাকিদের মাঝে জস বাটলার ও হ্যারি ব্রুক দুজনই ২০ রান করেন। মাহেদী চারটি, শরিফুল তিনটি এবং তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।