শীতে টনসিলের ইনফেকশন

পিবিএ ডেস্ক: টনসিলের সমস্যা খুব পরিচিত। সবচেয়ে পরিচিত টনসিলের ব্যাথা। শীতে আমাদের দেশে টনসিলের ব্যাথার অনেক রোগী পাওয়া যায় । শিশুদের ক্ষেত্রে টনসিলের ব্যাথা একটু বেশি হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় টনসিলের ব্যাথাকে বলা হয় টনসিলাইটিস। টনসিলাইটিস ভীষণ যন্ত্রনাদায়ক এবং দীর্ঘমেয়াদি হয়।

টনসিলের ব্যাথার উপসর্গ গুলো হলো –
২ দিনের বেশি সময় গলায় ব্যাথা হয় , খাবার গেলার সময় গলা ব্যথা হয়, শরীরে সামান্য জ্বর থেকে অনেক বেশী জ্বর হবে, গলার স্বরের পরিবর্তন হয়, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে, গলা ফুলে যায় এবং মাঝে মাঝে গলা ফুলে পুঁজ হয়েছে মনে হয়, স্ট্রেপ্টোকক্কাল টনসিলাইটিসের ক্ষেত্রে শিশুদের জ্বর, মাথা ব্যাথা, পেটে ব্যাথা হয়, খাবারে অরুচি দেখা দেয় ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। অনেকের গলা ফুলে যেতে দেখা যায়। রোগী কিংবা চিকিৎসক হাত দিলে বা দেখেই বুঝতে পারেন।

টনসিলাইটিস বুঝা খুবই সহজ। চিকিৎসক ইতিহাস ঘেটে এবং পরীক্ষা করেই টনসিলাইটিস বুঝতে পারেন। টাং ডিপ্রেসর দিয়ে জিহবাকে একটু চেপে ধরেেল ভিতরে ব্যাথা আছে কী না তা সহজেই বোঝা যায়। ব্যাথার কারণে টনসিল বড় হয়ে যায় এবং লালাভ হয়ে থাকে। টনসিলের ওপর অনেক সময় আবরণ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞের পর্যবেক্ষণ টনসিলাইটিসের নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোন জীবাণু দিয়ে রোগটি হয়েছে তা বোঝার জন্য টনসিল থেকে একটু রস নিয়ে পরীক্ষা করতে হয়।
টনসিলের চিকিৎসা উপসর্গ অনুযায়ী করা হয়। ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে হলে রোগীকে যথাযথ অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে এবং ভাইরাসের কারণে হলে ৫-৭ দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। উপসর্গ চলে গেলেও টনসিলের আকৃতি ছোট হতে সময় লাগে। তাই এতে আতংকিত হয়ে পড়ার কিছু নেই।

কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
সমস্যা নিজ থেকেই ঠিক না হলে, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। ৩-৪ দিনের বেশি সময় ধরে গলা ব্যাথা থাকলে, জ্বর আসলে এবং গিলতে ব্যাথা করতে থাকলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিলে এবং ডাক্তারের পরামর্শমতো চিকিৎসা নিতে থাকলে টন্সিলাইটিস ভালো হয়ে যাবে। তবে কেউ যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহন না করে এবং চিকিৎসকের উপদেশ মেনে না চলে তবে, Chronic tonsillitis হয়ে যেতে পারে। এই ইনফেকশন যদি বছরে চার-পাঁচবার করে পরপর দুই বছর হয়, তবে আমােদর উচিৎ টনেসল অপারেশন করিয়ে নেয়া। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

শীতেই টনসিলাইটিসের রোগী বেশি দেখা যায়। তাই এ সময় দৈনিক রুটিনটা পরিবর্তন করতে হবে। ঠিক সময় মত গোসল এবং খাওয়া দাওয়া সেরে নিতে হবে। বাচ্চাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাহলেই আমরা পারব টনিসলাইিটস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে।

আরও পড়ুন :

আরও পড়ুন...