জুবায়ের পন্থীদের বিরুদ্ধে সাদ পন্থীদের পাসপোর্টও মালামাল আটকের অভিযোগ

পিবিএ,ঢাকা: বিদেশ থেকে আসা সাদ অনুসারি তাবলিগ কর্মীদের পাসপোর্ট, টাকা ও মালামাল আটকের অভিযোগ উঠেছে জুবায়ের পন্থীদের বিরুদ্ধে। এছাড়া,বিদেশি তাবলিগ কর্মীদের বিভিন্ন স্থানে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন সাদ অনুসারীরা। পাসপোর্ট ও নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেরত না পাওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা আটজন তাবলিগ কর্মী। ইতোমধ্যে তারা পার্টপোটসহ মালামাল ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

কাকরাইল মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে আসা তাবলিগ কর্মীদের জন্য কাকরাইল মসজিদে একটি আমানতখানা রয়েছে। এখানে বিদেশি তাবলিগ কর্মীদের পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র রাখা হয়।

তাবলিগ সূত্র জানিয়েছে, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আগে থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে তাবলিগের অনুসারীরা আসা শুরু করেন। অনেকেই ইজতেমার আগে এক চিল্লা (৪০ দিন) সময় দেন বাংলাদেশ তাবলিগের কাজে। ইজতেমা শেষ করে তারা দেশে ফেরত যান। আবার কেউ কেউ ইজতেমা শেষে বাংলাদেশে তাবলিগের কাজে সময় ব্যয় করেন।গত ১লা ডিসিম্বর টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও হেনস্তার কারণে এবছর সেই সংখ্যা কমার শঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, ইজতেমা ও ইজতেমা পূর্ব ‘জোড়’- এ অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কিছু দেশের তাবলিগ কর্মী ঢাকায় এসেছেন। এদের মধ্যে কয়েকটি জামাত (দল) ইন্দোনেশিয়া থেকে নভেম্বরে বাংলাদেশে আসে। তাদের কয়েকজন ৪ ডিসেম্বর দুপুরে নিজেদের পাসপোর্ট, টাকা ও জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য কাকরাইল মসজিদে যান। তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য সঙ্গে ছিলেন সাদ অনুসারী তাবলিগ কর্মী খোরশেদ আলম। ওই দিন বিকালে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকরা রমনা থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। পরবর্তীতে ৫ ডিসেম্বর তারা ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ করেন।

ইন্দোনেশিয়া জামাতের পাঁচ অনুসারী বর্তমানে মিরপুরের একটি মসজিদে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে একজন ডিকি রোমানতাসা বলেন, ‘আমাদের পাসপোর্ট, জামাকাপড় ও টাকা কাকরাইল মসজিদ থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। থানায়ও গিয়েছিলাম কোনও সমাধান পাইনি। টাকার জন্য আমাদের চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে। আমাদের মধ্যে অনেকের দেশে ফেরত যাওয়া কথা ছিল। পাসপোর্ট ফেরত না পাওয়ার কারণে তারা ফেরত যেতে পারছেন না। বিমানের টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি না, এখন কী করবো।’

একই অভিযোগ সওয়ার্দি রুস্তমের। তিনি বলেন, ‘আমাদের অপরাধ কী জানি না। আমাদের টাকাপয়সা, পাসপোর্ট কী কারণে আটকে রাখা হয়েছে, তাও বলা হয়নি। আমরা ভীত এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।’পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...