পিবিএ, ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় কেন্দ্রীয় সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেলের প্রার্থীরা এরই মধ্যে ভোট বর্জন করেছে। জাল ভোট প্রদান, সিলযুক্ত ব্যাটল বাক্স উদ্ধার, প্রার্থীদের মারধরসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে সকাল থেকে। তারই জের ধরে পুরো ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। ঢাবির প্রায় সবকটি স্থানই এখন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে ভিসির পদত্যাগ দাবি করেছে তারা।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে ভিসি চত্বরের সামনে উপাচার্যের পদত্যাগ ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একই চিত্র দেখা গেছে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হল প্রাঙ্গনেও।
ভোটগ্রহণ চলাকালেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিএসসি, মহসীন হল, রোকেয়া হল, কুয়েত মৈত্রী হলের সামনে ও ভিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন। দুপুর ১টার দিকে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণসহ চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মিছিল নিয়ে বের হয়।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে ভিসি চত্বরের সামনে উপাচার্যের পদত্যাগ ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একই চিত্র দেখা গেছে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হল প্রাঙ্গনেও।
সেখানেও শিক্ষার্থীরা ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছে। একই সঙ্গে উপাচার্যের পদত্যাগ ও পুননির্বাচনের দাবি করছেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট বন্ধ থাকা নির্বাচন ৩টা থেকে আবার শুরু হবে এমন ঘোষণা দিলে ছাত্রীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। তারা ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করে বলেন, আমরা এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন চাই। একই সঙ্গে হল প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করেন ছাত্রীরা।
এদিকে, দুপুর ২টার দিকে আমাদের রিপোর্টার ঢাবি থেকে জানিয়েছেন, জিয়া হল, বঙ্গবন্ধু হল, সূর্যসেন হল ও জসীমউদ্দীন হলের ফটক বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভেতরে আটকে রাখা হয়েছে।
টিএসসি এলাকায় বিক্ষোভকালে ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, ভোটে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ছেলে ও মেয়ে উভয় হলেই অনিয়ম দেখা গেছে। সারাদিন ভোটের নামে নাটক চলেছে।
পিবিএ/জেডআই