নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নিজস্ব বাসের চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাসের ভাড়া বাস সুরাইল পরিবহনের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। শনিনার (১১ নভেম্বর) সকালে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী বৃত্তিপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী চালক মোমিন শেখ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, সকালে ক্যাম্পাস হাতে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বৃত্তিপাড়া নামক স্থানে জ্যামে আটকা পড়লে দেখতে পায় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা গাড়ি বাহিরের যাত্রী উঠানোর জন্য গাড়ি রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে জ্যাম সৃষ্টি করেছে। আমি গাড়ি থেকে নেমে সামনে থেকে সুয়াইল পরিবহনের চালককে দ্রুত রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে হঠাৎ করেই চালক ও হেলপার আমার উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করে।
পরে চালক সালাহউদ্দিন ভাই আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে এবং আমার চালিত গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে। এসময় আমার ০১ টি স্মার্ট ফোন ভেঙে যায় দুই জনের শাট ছিঁড়ে যায় এ সময় সালাহউদ্দিনের পকেটে থাকা দশ হাজার সাতশত টাকা হামলকারীরা ছিনিয়ে নেয় এবং রড, লাঠি-সোটাসহ আরও লোক ডেকে এনে আমাদের ব্যাপক মারধর করে।
অভিযোগে আরও বলেন, সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম, হেলপার লালন, গঞ্জরুবি গ্রামের জুয়েল এবং রবিউলসহ প্রায় ৩০ জন মিলে তাদের উপর এ হামলা চালায়।
এসময় তিনি অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুরাইল পরিবহনের চালক জসিম বলেন, আমি ঘটনার সময় বাস থেকে নাম-ই নি। এমনিতেই প্রতিটি বাজারে ভ্যান-সিএনজি পরিবহনের জন্য জ্যাম থাকে। তো ওইসময় জ্যাম সৃষ্টি হলে সরকারি বাসের ড্রাইভার এসে আমাদের হেলপারকে বকাবকি ও মারতে উদ্যত হন। এসময় আমি বাস সামনে এগিয়ে সাইট দিই তাদের। তো হেলপারের বাড়ি ওই এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ওইসময় মেলা লোকের সমাগম হয়, মারামারির সৃষ্টি হয়। এতে আমার বাসের হেলপার প্রচন্ড মারধরের শিকার হয়।
এদিকে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জানতে পেরেছি তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ যেহেতু পেয়েছি আমরা পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এটা আমরা সকালের দিকে জেনেছি। পরে ভুক্তভোগী পরিবহন অফিসে অভিযোগ করলে আমাদের কাছে সেটার একটি অনুলিপি আসে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেটা রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি।
প্রশাসন কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, আমার কাছে একটি কপি এসেছিলো। আমি ফাইলটা উপ-উপাচার্য বরাবর পাঠিয়েছি। তিনি ক্লাসে আছেন, না আসা পর্যন্ত কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জানানো যাচ্ছে না।