
রাজধানীর কোতোয়ালী থানার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ (সিএমএম কোর্ট) আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত এক নারীকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম হাফসা আক্তার। এই ঘটনায় তার স্বামী আব্দুল হামিদ পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) নিয়তি রায়।
তিনি বলেন, রাজধানীর পুরান ঢাকার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ২০ নভেম্বর বিকেলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়। এ ঘটনায় ওই দিন একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলার তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর গত ২৬ নভেম্বর শ্যামপুর থানার গ্লাস ফ্যাক্টরির গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাফসা আক্তার পুতুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে ককটেল বহনে ব্যাগ ও ঘটনাস্থলে আসতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) তিন দিনের রিমান্ড শেষে পুতুল আদালতে ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
এর আগে পুতুল রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায়র বিষয়ে জানায়, গত ২০ নভেম্বর অন্য একটি মামলায় আবদুর রহমানকে আদালতে আনার তথ্যে পেয়ে পুতুল তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূইয়াসহ তাদের ছোট মেয়েকে মোটরসাইকেলে করে বাসা থেকে আদালত এলাকায় আসে। তারা প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাদের মোটরসাইকেলটি রাখে। তারা সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে। এই সময়ে হামিদ স্ত্রী পুতুলের কাছে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে একটি ককটেল রাখাতে দেয়। পরবর্তীতে তারা আদালত ভবনে প্রবেশ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ৪র্থ তলায় উঠে। এরপর আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী পুতুলের ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ককটেলটি বের করে আদালত প্রাঙ্গণে ছুড়ে মারে। যার ফলে ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় পুতুলের স্বামী অভিযুক্ত হামিদ ওয়ারী থানা যুবদলের সদস্য। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান।