দুদকের মামলা

দ্বিতীয়বারের মতো পেছাল মির্জা আব্বাসের রায়

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ দ্বিতীয়বারের মতো পিছিয়ে আগামী ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ মির্জা আব্বাসের দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। বিচারকের বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাই মামলার রায় প্রস্তুত করা হয়নি।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর রায়ের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আজ ১২ ডিসেম্বর রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করা হয়।

এর আগে ১৫ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো সাফাই সাক্ষী দেন মির্জা আব্বাস। এরপর তাকে জেরা করে দুদক। তারপর আদালত মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষী দেন। অপর চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।

গত ৫ নভেম্বর এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখান আদালত। ঐদিন মামলাটির যুক্তিতর্ক থেকে ফিরিয়ে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন আব্বাসের আইনজীবী। আবেদনের পর আদালত সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন...