ছাতকে দুপক্ষের বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ ২২, আহত শতাধিক

sunamgonj-map-PBA

পিবিএ,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের ছাতকে তিন ঘণ্টাব্যাপী দুপক্ষের মুখোমুখি বন্দুকযুদ্ধে উভয়ের মধ্যে শতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ১২ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে কালারুকা ইউপির মুক্তির গ্রামের গ্রামে তেরাব আলীর ছেলে মইন উদ্দিন ও সিরাজ মনজুর মধ্যে টেম্পুতে ওঠা নিয়ে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে একই গ্রামে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল হক ও ইউপির সদস্য আবদুল মতিনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

সোমবার রাত ৯টায় মনজু ও নিতাইয়ের নেতৃত্বে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল হক বাড়িতে হামলা চালায়। এ হামলার ঘটনার প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী মুখোমুখি সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার দোলন মিয়া ও ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ১২ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় ২২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন আবদুল হেকিম, শফিউল, ইয়াসিন আলী, মইন উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল হক, মুহিবুল, ইজ্জাদুর হক, রুবেল, আরিফ, নুর আলম, পাবেল, শাহ আলম, রাসেল, হুমাইন, আনছার আলী, রইছ আলী, কয়েস আহমদ, দুলাল মিয়া, নিজাম উদ্দিন, হেলাল, সমছু মিয়া ও রহিম আলী।

এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল হক বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আবদুল মতিন মেম্বারের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনা প্রতিরোধ করতে গিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এদিকে আব্দুল মতিন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল হকের নেতৃত্বে আমার ছোট ভাই মনজুর ওপর হামলা চালানো হয়। এ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়।

ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, টেম্পুতে ওঠা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...