মোংলা বন্দরের নৌ বহরে যুক্ত হলো উদ্ধারকারী জাহাজ “এম টি সুন্দরবন”


পিবিএ,মোংলা: মোংলা বন্দরের নৌ বহরের যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক একটি উদ্ধারকারী জাহাজ “এম টি সুন্দরবন”। মালেয়শিয়া থেকে এটি ১২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে বন্দরের ৭ নং জেটিতে এসে নোঙ্গর ফেলে। বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার দুরুল হুদা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জাহাজটি ২৮ ফেব্রয়ারী মালেয়শিয়া থেকে ছেড়ে আসে। জাহাজটি বন্দর জেটিতে নোঙ্গর করার সময় বন্দরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এটিকে মেরিটাইম ট্রাডিশন অনুসারে স্বাগত জানান।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ থেকে বলা হয়, বন্দরে কোন বিদেশী জাহাজ কিংবা দেশীয় নৌযান দুর্ঘটনাকবলিত হলে সেটিকে উদ্ধার, বয়া ও জেটিতে বিদেশী জাহাজ বাঁধা এবং চ্যানেল দিয়ে জাহাজ আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে দুর্ঘটনারোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে কর্তৃপক্ষের ক্রয়কৃত নতুন এ টাগ (সাহায্যকারী/উদ্ধারকারী) জাহাজটি।

বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার দুরুল হুদা বলেন, ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মালয়েশিয়া থেকে এম,টি সুন্দরবন নামক টাগ জাহাজটি আনা হয়েছে। জাহাজটি পূর্ব মালয়েশিয়ার শিবু এলাকায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। ৪২ টন ক্ষমতা সম্পন্ন টাগ জাহাজটি নির্মাণ করেছে মালয়েশিয়ার কাইবুক শিপ ইয়ার্ড। নব নির্মিত জাহাজে কোন ধরণের ক্রুটি বিচ্যুতি ছিল কিনা তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য গত দুই মাস পূর্বে বন্দরের হারবার মাষ্টার নেতৃত্বাধীন কর্তৃপক্ষের একটি টিম মালয়েশিয়ায় অবস্থানও করেন । পরে সবরকম আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে জাহাজটি মোংলা বন্দরে আনা হয়।

বন্দর ব্যবহারকারী ইউনিক মেরিটাইম লি: ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বদিউজ্জামান টিটু এবং নুরু এন্ড সন্স এর মালিক এইচ এম দুলাল বলেন, উদ্ধারকারী এ টাগ জাহাজটি আরো আগেই ক্রয়ের প্রয়োজন ছিল, দেরীতে হলেও কর্তৃপক্ষ টাগটি সংযোজন করায় বন্দরে জাহাজ আনা নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবো।

এ প্রসঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, এম,টি সুন্দরবন নামক অত্যাধুনিক যে টাগ জাহাজটি ক্রয় করা হয়েছে তা দিয়ে বন্দর চ্যানেলের সার্বিক অপারেশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ফলে দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাবে দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হবে দুর্ঘটনাকলিত জাহাজ ও নৌযান।

পিবিএ/এমএনএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...