কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করতে নির্দেশনা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এছাড়া ফুটানো যাবে না কোনো আতশবাজি। ওইদিন জেলার সকল বারও বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুতরাং এবার আরও একটি রংহীন থার্টি ফার্স্ট নাইট হবে কক্সবাজারে। এতে বিনোদন বঞ্চিত হবে লাখো পর্যটক।
এবিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বলেন, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে উন্মুক্ত অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দিনের বেলা অনুষ্ঠান আয়োজন করলেও তা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই শেষ করতে হবে। তবে অনুমতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আয়োজন করা যাবে।
কোনো ধরনের আতশবাজি ফোটানো যাবে না বলেও জানান ইয়ামিন হোসেন। এছাড়াও ওইদিন বন্ধ থাকবে কক্সবাজারের সমস্ত বার। যার ব্যবস্থা নেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ইয়ামিন হোসেন বলেন, শহরের রাখাইন পাড়াগুলোতে মাদকের নিয়ন্ত্রণ করতে অভিযান চালানো হবে।
কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক জীবন বড়ুয়া বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটের দিন জেলার সকল বার বন্ধ থাকবে।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত আয়োজন বন্ধ থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজার হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, উন্মুক্ত আয়োজন বন্ধ থাকলে কক্সবাজারে পর্যটক আসতে চায় না। যার জন্য গত কয়েকবছর ধরেই আমরা এইদিনে পর্যটক শূন্যতায় ভোগী। এমন হতে থাকলে মুখ ফিরিয়ে নেবে পর্যটকরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, আমরা দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের নিয়ে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করতাম। তখন লাখ লাখ পর্যটক আসতো। নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকদের আনাগোনা কিছুটা কমবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে ঘুরতে আসবে। তাই ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র সৈকতের পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। এছাড়া জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্নে করতে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান আপেল মাহমুদ। জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারে ইতিমধ্যে ভালো মানের হোটেলে ৮০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।